ছবি: পিটিআই।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আজ জেল-যাত্রা বা যে কোনও পরিণামের জন্য তৈরি থাকতে হবে। নইলে কাল বাঁচানোর মতো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র ও যুব সমাজের জন্য এই বার্তাই দিলেন আইনজীবী ও নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ প্রশান্ত ভূষণ।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আচরণের সমালোচনা করে সম্প্রতি আদালত অবমাননার মুখে পড়েছেন প্রশান্ত। কিন্তু সমালোচনার অধিকারের পক্ষে সওয়াল করে ক্ষমা চাইতে রাজি হননি। এই প্রেক্ষিতেই সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে গণতন্ত্রের এখনকার চেহারা ব্যাখ্যার (ডিকোডিং ডেমোক্র্যাসি) জন্য ভার্চুয়াল বক্তৃতায় নিয়ে এসেছিল প্রশান্তকে। সেই অনুষ্ঠানেই শনিবার সন্ধ্যায় প্রশান্ত বলেছেন, ‘‘আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে। সংবিধানের প্রতিটা অধ্যায়ের উপরে আক্রমণ হচ্ছে। দেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে, প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতার স্পর্ধার সামনে দাঁড়িয়েই আমাদের কথা বলতে হবে। তার জন্য যা পরিণাম ভুগতে হয়, হবে! তা না হলে কাল আর কিছু বাঁচানোর জন্য পড়ে থাকবে না।’’
প্রশান্তের মতে, দেশের বর্তমান শাসকেরা পুরোপরি ফ্যাসিস্ত কায়দায় চলছেন। নাগরিকের যুক্তিপূর্ণ চিন্তার ক্ষমতাকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, কেউ যাতে কোনও প্রশ্ন না তোলেন। এই কাজটা করে ফেলতে পারলে তখন নিজেদের তত্ত্ব প্রচার করা সহজ হয়, সকলকে ভক্ত বানিয়ে নেওয়া যায়! মিথ্যা প্রচারের মোকাবিলায় ছোট ছোট প্যাকেজ তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে পাল্টা প্রচারের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: অতিমারিতে ‘বলির পাঁঠা’ হয়েছেন তবলিগি জামাতরা, মন্তব্য আদালতের
পয়সার জোরে ক্ষমতা দখল এবং ক্ষমতায় বসে পয়সা ছড়ানো— এই বিষচক্রে এখন গণতন্ত্রকে বেঁধে ফেলা হয়েছে বলে মনে করেন প্রশান্ত। এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক দীপ্সিতা ধর এ দিনের অনুষ্ঠানে আসা নানা প্রশ্নের নির্যাস থেকে উত্তর চেয়েছিলেন প্রশান্তের কাছে। তিনি আহ্বান জানান, পরিস্থিতি বদলাতে হলে ছাত্র ও যুব সমাজকে অকুতোভয় হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কোথায় অন্যায় বা কণ্ঠরোধ হচ্ছে, সেটা বুঝতে হবে। বুঝে প্রতিবাদ এবং প্রতিবাদকে সংগঠিতও করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy