Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Bengaluru

কোভিড আক্রান্ত ও তাঁর প্রতিবেশীর দরজা টিন দিয়ে সিল করে তোপের মুখে বেঙ্গালুরু নগরপালিকা

বিষয়টি সামাল দিতে আসরে নামেন খোদ বিবিএমপি-র কমিশনার এন মঞ্জুনাথ প্রসাদ।

দু’টি ফ্ল্যাটের দরজা সিল করছেন বিবিএমপি-র কর্মীরা। ছবি:সংগৃহীত।

দু’টি ফ্ল্যাটের দরজা সিল করছেন বিবিএমপি-র কর্মীরা। ছবি:সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ১৫:১০
Share: Save:

ঘরের ভিতর থাকাকালীনই দু’টি পরিবারের ফ্ল্যাটের মূল দরজা টিন দিয়ে সিল করে দিলেন বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি)-র কর্মীরা। বাড়িতে নিভৃতবাসের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই নাকি এমনটা করা হয়েছে। ওই দুই পরিবারের একটিতে এক সদস্যের করোনা ধরা পড়ার খবর পেয়ে বিবিএমপি-র কর্মীরা সেখানে আসেন। অভিযোগ, এর পরই করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁর প্রতিবেশীর ঘরের দরজা সিল করে দেন ওই কর্মীরা। অন্য এক প্রতিবেশী সিল করা দুটি দরজার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। ছবিটি শেয়ার হতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বিবিএমপিকে।

করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে কেন, তা নিয়ে শহরবাসী এবং নেটাগরিকদের অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। এ ব্যাপারে বিবিএমপি-র ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই। শহর জুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে তড়িঘিড়ি ওই দুই পরিবারের দরজা থেকে টিন সরিয়ে নিতে উদ্যোগী হয় স্থানীয় প্রশাসন।

বিষয়টি সামাল দিতে আসরে নামেন খোদ বিবিএমপি-র কমিশনার এন মঞ্জুনাথ প্রসাদ। ঘটনাটির জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। পরে টুইট করে মঞ্জুনাথ বলেন, “ফ্ল্যাট দু’টি থেকে যত দ্রুত সম্ভব টিনের ব্যারিকেড খুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছি। স্থানীয় কর্মীরা অতি উৎসাহে বিষয়টি করে ফেলেছেন। এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।” তাঁর কথায়, “কন্টেনমেন্টের অর্থ হল আক্রান্তদের রক্ষা করা। আর যাঁরা আক্রান্ত হননি, তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। দুই পরিবারের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, পরবর্তী কালে এমন কোনও অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পদক্ষেপ করা হবে।”

করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়েই চলেছে বেঙ্গালুরুতে। সংক্রমণ ঠেকাতে শহরে এক সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে। কিন্তু তার পরেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। কর্নাটকে ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৬১৬ জনের।

আরও পড়ুন: শুরু হবে লকডাউন, কাকভোরেই বিমানবন্দরে হাজির যাত্রীরা

সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে থাকায় রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অশ্বথ নারায়ণ এক সপ্তাহের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “শহরবাসীরা লকডাউনের দাবি জানাচ্ছিলেন। সংক্রমণ ঠেকাতেই টানা এক সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরু শহরে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bengaluru Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE