বিধানসভা ভবনের বাইরে ইরফান আনসারির সঙ্গে সি পি সিংহ (ডান দিকে)। সোশ্যাল মিডিয়া
এ বার আর কোনও ‘আম আদমি’ রাম-ভক্ত নন, ঝাড়খণ্ডের এক মন্ত্রীও সেই দলে নাম লেখালেন। তাঁর সহকর্মী এক মুসলিম বিধায়ককে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপ দিতে দেখা গেল তাঁকে। একেবারে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের ওই মুসলিম বিধায়কের পাল্টা চাপের মুখে পিছু হঠলেন মন্ত্রী। ঘটনা আরও খারাপ দিকে মোড় নেওয়ার আগে দু’জন দু’দিকে হাঁটা দিলেন।
আজ বিধানসভা ভবনের বাইরের চত্বরে সাংবাদিক পরিবেষ্টিত হয়ে গলা জড়াজড়ি করেই দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী সি পি সিংহ ও কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি। খানিকটা মজা করেই আনসারিকে সিপি বলেন, ‘‘একবার জোরে জয় শ্রীরাম বলুন।’’ আনসারি হাসতে হাসতেই তাঁর হাতের লাল ধাগা দেখান। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু মন্ত্রী বলতে থাকেন, ‘‘আরে বাবর, তৈমুর লং, গজনি বা ঘোরি তো আর আপনার পূর্বপূরুষ নয়। আপনি রামেরই উত্তরসূরি।’’ আনসারি উত্তর দেন, ‘‘রাম কা নাম বদনাম না মাৎ করিয়ে। রাম সবকে হ্যায়।’’ এর পরেই তিনি মন্ত্রীর উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘‘মানুষ রোজগারি চায়। রাস্তা চায়, বিদ্যুৎ চায়। তারা চায় নালা পরিষ্কার হোক। যান, অযোধ্যায় যান। দেখে আসুন রাম সেখানে কী ভাবে আছেন।’’ আনসারি তখন উত্তেজিত। পরিস্থিতি অন্য দিকে যাচ্ছে বুঝে মন্ত্রী উল্টো দিকে হাঁটা দেন। আনসারি নিজের পথে।
তবে তত ক্ষণে গোটা কাণ্ড সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় বন্দি। পরে অবশ্য এই নিয়ে সি পি সিংহ বা ইরফান আনসারি, কেউই মুখ খোলেননি। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, আনসারি যথাযথ উত্তর বিজেপি নেতার মুখের উপরেই দিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে আর জল ঘোলা করার অর্থ হয় না। অন্য দিকে, বিজেপি নেতৃত্বও বিষয়টি জল ঘোলার পক্ষপাতী নন। এক সূত্রের বক্তব্য, ওঁরা বিধায়ক। প্রতিদিন পাশাপাশি বসেন, গল্প করেন, সরকারি কাজকর্ম করেন। সেই সম্পর্ক অটুট থাকুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy