দীনু আলেক্স। ছবি সৌজন্য দীনুর ফেসবুক।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পরদেহ মিলল কেরলের আর্জেন্টিনা ভক্ত দীনু আলেক্সের। রবিবার সকালেবাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ইলিক্যাল সেতুর কাছে মিনাচিল নদীতে ভেসে ওঠে দীনুর দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁর বাড়িতে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
গত ২১ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন কোয়াট্টামের আরুমানুর গ্রামের বাসিন্দা দীনু। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট মেলে। তাতে লেখা ছিল— এই পৃথিবীতে আমার জন্য আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। আমি চললাম। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।”পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর অন্য একটি বইয়ের ভিতর থেকে যে লেখা উদ্ধার হয়, তাতে লেখা ছিল, ‘মেসি, তুমি আমার জীবন। তোমার হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চাই।’ আরও একটি লেখা নোট পাওয়া যায় তাতে লেখা ছিল, ‘আমার দল জার্নি শুরু করেছে।’
ঘটনাচক্রে ওই দিন রাতেই ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলা ছিল আর্জেন্টিনার। ক্রোয়েশিয়ার কাছে শোচনীয় ভাবে হারে আর্জেন্টিনা।আর পর দিন ভোরেই দীনু নিখোঁজ হয়ে যান। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও পাওয়া যায়নি তাঁকে। কিন্তু তার পরই ঘর থেকে উদ্ধার হয় দীনুর লেখা সেই সুইসাইড নোট।সেই সুইসাইড নোট দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা হয়, আর্জেন্টিনা হেরে যাওয়ার ধাক্কাটা নিতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন দীনু।
আরও পড়ুন: সম্পর্কের টানাপোড়েন! দিল্লিতে মেজরপত্নী খুন, গ্রেফতার আর এক সেনাকর্তা
তাঁর বাড়ির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে মিনাচিল নদী। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করে, নদীতে ঝাঁপ দিয়েই আত্মহত্যা করেছেন দীনু। কিন্তু গত দু’দিন নদীতেতল্লাশির পরও তাঁর কোনও হদিস মেলেনি। অবশেষে রবিবার সকালে তাঁর দেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দীনু আর্জেন্টিনার অন্ধ ভক্ত ছিলেন। এ কথা দাবি করেছিলেন তাঁর পরিবার থেকে বন্ধু-বান্ধব সকলেই। ক্রীড়াপ্রেমী হিসাবে গ্রামে বেশ পরিচিতি ছিল তাঁর। পদার্থবিদ্যায় স্নাতক দীনু একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন।কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিয়ে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রামে। শুধু কি আর্জেন্টিনা হারার জন্য দীনু এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন? না কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে! পুলিশ আপাতত সেই রহস্যভেদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে নোংরা রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy