Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪

লোয়ার পরে আরও দুই রহস্যমৃত্যু, তদন্ত দাবি

প্রশ্ন হল, লোয়ার মৃত্যুর সঙ্গে এঁদের কী সম্পর্ক? কংগ্রেসের অভিযোগ—এঁদের কাছেই বিচারক লোয়া বলে গিয়েছিলেন, তিনি আতঙ্কে রয়েছেন।

সাংবাদিক বৈঠকে কপিল সিব্বল ও সলমন খুরশিদ। বুধবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

সাংবাদিক বৈঠকে কপিল সিব্বল ও সলমন খুরশিদ। বুধবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৬
Share: Save:

সিবিআই আদালতের বিচারক ব্রিজগোপাল হরকিষান লোয়ার মৃত্যু-রহস্যে নতুন মোড়। লোয়া-মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আরও দু’জনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা আজ সামনে আনল কংগ্রেস। ঘটনার সাক্ষী হিসেবে কংগ্রেস হাজির করল নাগপুরের দুই আইনজীবীকে।

কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা কপিল সিব্বল, সলমন খুরশিদরা আজ এআইসিসি দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করলেন, লোয়া মৃত্যুর পরেও আরও দু’জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২০১৫ সালে নাগপুরের আইনজীবী শ্রীকান্ত খান্ডেলকরের মৃত্যু হয়েছে জেলা আদালতের আট তলা থেকে পড়ে। পরের বছর আর এক অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারক প্রকাশ থোম্বড়ে মারা গিয়েছেন চলন্ত ট্রেনে উপরের বার্থ থেকে পড়ে।

প্রশ্ন হল, লোয়ার মৃত্যুর সঙ্গে এঁদের কী সম্পর্ক? কংগ্রেসের অভিযোগ—এঁদের কাছেই বিচারক লোয়া বলে গিয়েছিলেন, তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় (গুজরাতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নামও যাতে জড়িয়ে পড়েছিল, কিন্তু পরে ছাড় পান তিনি) কী রায় দিতে হবে, তার খসড়াও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে শুধু সই করতে বলা হচ্ছে। এই কথোপকথনের সময় সতীশ উইকে নামেও এক জন আইনজীবী ছিলেন, যাঁকে আজ সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির করে কংগ্রেস। সঙ্গে আর এক সহযোগী আইনজীবী সূর্যকান্ত।

নাগপুরের এই আইনজীবীরাও আজ বিচারক লোয়ার পোস্টমর্টেম ও ভিসেরা রিপোর্টে ‘ভূরি ভূরি অসঙ্গতি’ তুলে ধরেন। কপিল সিব্বলের অভিযোগ, এই আইনজীবীদেরও হত্যার চেষ্টা হয়েছে। হুমকি আসছে। মৃত্যুর আগে লোয়া কোথায় ছিলেন, নাগপুরে কী ভাবে গেলেন, মৃত্যুর মাত্র সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে কী ভাবে ‘রাইগর মর্টিস’ হল— এ সব কিছুই রহস্য বাড়াচ্ছে। সিবিআই বা এনআইএ-কে বাদ দিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে এর তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতারা।

বিজেপি আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না-জানালেও দলের এক নেতা বলেন, ‘‘লোয়া-পুত্র অনুজ ক’দিন আগেই প্রকাশ্যে বলেছেন, এই মৃত্যু নিয়ে তাঁর পরিবারের কারও কোনও ধন্দ নেই। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলা চলছে। কংগ্রেসের কাছে কোনও নথি থাকলে আদালতে যাচ্ছে না কেন?’’ কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, লোয়া-পুত্র দাবি করলেও তিনি যে চাপের মুখে সে কথা বলেননি, তার কী নিশ্চয়তা? চার প্রবীণ বিচারপতি ক’দিন আগে যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এখন নতুন তথ্যেও সেই অসঙ্গতি ফুটে উঠছে। প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচ করার যে প্রস্তাব সীতারাম ইয়েচুরি দিয়েছেন, সেই ব্যাপারে কংগ্রেস অবশ্য এখনই কিছু বলতে চাইছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE