ছবি: সংগৃহীত।
জিএসটি ক্ষতিপূরণ না মিটিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী রাজ্যগুলিকে ঋণ নিতে বলেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীরা দাবি তুলেছেন, কেন্দ্র ঋণ নিয়ে ক্ষতিপূরণ মেটাক। আজ অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্র থেকে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হল, কেন্দ্রের পক্ষে ঋণ নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটানো হয় সেস থেকে আয়ের মারফত। সেস বাবদ আয়ের টাকা রাজ্যের কাছে যায়। কেন্দ্রের কাছে যে আয়ের কোনও গ্যারান্টি নেই, তার ভিত্তিতে কেন্দ্রের পক্ষে ঋণ নেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্য ঋণ নিলে সেস থেকে আয়ের মাধ্যমেই তা শোধ করা হবে।
চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার ফলে কেন্দ্রের পক্ষে জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটানো সম্ভব হবে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাজ্যকে ঋণ নিতে বলেছিলেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ ছ’টি রাজ্য সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। আজ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে জিএসটি ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করে গহলৌতের দাবি, কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে বিশ্বাসের আবহ বজায় রাখতে কেন্দ্রের উচিত হবে প্রতিশ্রুতি মতো ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়া।
বৃহস্পতিবার ফের জিএসটি পরিষদের বৈঠক বসছে। সেখানে ফের রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা এ বিষয়ে সরব হবেন বুঝে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সূত্রের যুক্তি, সংবিধানের ২৯২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেন্দ্র যে অর্থ নিজের রাজস্ব আয় থেকে শোধ করতে হবে, সেই অর্থই ধার নিতে পারে। যে আয়ে কেন্দ্রের অধিকার নেই, তার ভিত্তিতে কেন্দ্র ধার নিতে পারে না। রাজ্যগুলি জিএসটি ক্ষতিপূরণের ৯৭ হাজার কোটি টাকা ধার করলেও, আরও ক্ষতিপূরণ প্রয়োজন হলে কেন্দ্র তা মিটিয়ে দেবে। তা ছাড়া কেন্দ্র ধার করতে গেলে বাজারে সরকারি ঋণপত্রে সুদের হারও বেড়ে যাবে। তার ধাক্কায় বেসরকারি সংস্থা বা রাজ্যের ঋণের সুদও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy