প্রতীকী ছবি।
পরিবার পরিকল্পনা কারও উপরে চাপিয়ে দেওয়াটা সরকারের নীতি নয় বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একটি মামলায় মন্ত্রক হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক সচেতনতার জন্য প্রচার করে। পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন বিকল্পের বন্দোবস্ত রাখে। কিন্তু বিষয়টি কাউকে চাপিয়ে দেওয়া হয় না। বিজেপির আইনজীবী নেতা অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নীতি জানতে চেয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রক জানাল, দেশে পরিবার পরিকল্পনার বিষয়টি সম্পূর্ণই স্বেচ্ছামূলক, এবং তাতে যথেষ্ট ভাল ফল মিলেছে।
দিল্লি হাইকোর্টে অশ্বিনী উপাধ্যায় একটি জনস্বার্থ মামলা করে সকলের জন্য পরিবার পরিকল্পনা এবং দুই সন্তান বিধি বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছিলেন। হাইকোর্ট মামলাটি খারিজ করে জানায়, ‘এ জন্য নতুন আইন প্রয়োজন। আইন প্রণয়ন হয় সংসদ বা আইনসভায়। আদালতের কোনও এক্তিয়ার নেই আইন তৈরির। তাই জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করা হল।’ হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে নতুন জনস্বার্থ মামলা করে উপাধ্যায় বলেন, শুদ্ধ বাতাস, পরিস্রুত জল এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। জনসংখ্যার চাপে যাতে না এগুলি দুর্লভ হয়ে ওঠে, সরকারের তা দেখা উচিত। সেই কারণেই পরিবার পরিকল্পনা ও দুই সন্তান নীতি বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়োজন। যদিও, বিজেপি নেতার এই মামলার পিছনে অন্য অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের মতে, সংখ্যালঘুদের দুই সন্তান বাধ্যতামূলক করাটাই আসলে মামলার উদ্দেশ্য। কারণ বিজেপির দাবি, বহু সন্তান নীতি নিয়ে সংখ্যাগুরু হওয়ার কৌশল নিয়েছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা। যদিও সরকারি তথ্য এই দাবিকে একেবারেই সমর্থন করে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy