—ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস মুখপাত্র রাজীব ত্যাগীর মৃত্যু ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়ে গেল। রাজীবের পরিবারের বক্তব্য, বেঙ্গালুরুতে হিংসা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলের বিতর্কে অংশ নেওয়ার সময়েই গত কাল অসুস্থ হয়ে পড়েন কংগ্রেস মুখপাত্র। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে গাজ়িয়াবাদের যশোদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, বিতর্কের সময়েই রাজীবের হার্ট অ্যাটাক হয়। হাসপাতালে ৪৫ মিনিট চিকিৎসার পরে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজীবের রক্তচাপজনিত কিছু সমস্যা ছিল। সে জন্য ওষুধও খাচ্ছিলেন তিনি।
মুখপাত্রের মৃত্যুর পরে কংগ্রেস নেতৃত্ব টেলিভিশনের বিতর্কে রাজীবকে নিশানা করে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রের কটূ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ সম্বিৎকে গ্রেফতারের দাবি পর্যন্ত তুলেছেন। কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল টুইট করে বলেছেন, ‘‘টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক, সম্পাদক ও অ্যাঙ্করদের এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে যে, কেউ কেউ খবর নিয়ে বিতর্ককে অর্থহীন, বিষাক্ত ও জীবনহানিকর জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। কখনও কখনও শব্দের প্রভাব বুলেটের মতোও হতে পারে।’’
ত্যাগীর মৃত্যুর পরে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস টিভি বিতর্কগুলিতে ‘শিষ্টাচার’ বজায় রাখার জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে। চ্যানেলগুলিকে এই সংক্রান্ত আচরণবিধি কার্যকর করতে অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল। জয়বীর বলেন, ‘‘টিভির বিতর্কগুলি কুৎসাপরায়ণ দানব হয়ে উঠেছে। বিতর্কগুলিতে যে ভাবে ক্রমাগত কারও কথায় বাধা দেওয়া হয়, বিষাক্ত ও অবমাননাকর আক্রমণ চলতে থাকে, তা প্যানেলের প্রত্যেকেরই শরীর-মনে প্রভাব ফেলে।’’ জয়বীরের টুইটটি রিটুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘‘নিউজ় ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের শর্তাবলি যে ভাবে যথেচ্ছ লঙ্ঘন করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিবেচনার সময় এসেছে।’’ পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র সুধাংশু মিত্তলের বক্তব্য, এই ধরনের বিষাক্ত বিতর্ক কংগ্রেসেরই অনেকে করে থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy