প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে বারাণসীতে প্রার্থী করার দাবিতে কংগ্রেসের মিছিল। —ফাইল চিত্র
জল্পনা ছড়িয়েছিল প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার রাজনীতিতে অভিষেকের দিনই। আর তার পরের দিনই সরব হলেন বারাণসীর কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসীতে প্রার্থী করতে হবে প্রিয়ঙ্কাকেই। এই দাবিতে মন্দির শহরে মিছিল করলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। এমনকি, আগের বারের লোকসভা নির্বাচনে মোদীর বিরুদ্ধে যিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন, মিছিলে শামিল ছিলেন সেই অজয় রাইও।
বুধবারই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রিয়ঙ্কাকে নিয়োগ করেছেন দলের সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁকে দেওয়া হয়েছে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব। প্রিয়ঙ্কার অভিষেকের পরই একাধিক জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। বুধবারই জল্পনা ছড়িয়েছিল মা সনিয়ার কেন্দ্র রায়বরেলীতে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়ঙ্কা। আবার বারাণসীর কংগ্রেস নেতারা দাবি তুলেছিলেন, মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসীতেই প্রার্থী হোন প্রিয়ঙ্কা। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দাবিই আরও জোরালো হল। আর সেই দাবিতে রীতিমতো পথে নেমে মিছিল করলেন কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
২০১৪ সালে বারাণসী কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন অজয় রাই। এদিন বারাণসীতে যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বে যে মিছিল হয়, তার পুরোভাগে দেখা যায় তাঁকেই। ব্যানার, পোস্টারে লেখা একটাই দাবি, বারাণসী থেকেই প্রার্থী করতে হবে প্রিয়ঙ্কাকে। স্লোগান ওঠে, ‘কাশী কি জনতা করে পুকার, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী হো সাংসদ হামার।’ দলের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য, ‘‘প্রিয়ঙ্কা এখানে প্রার্থী হলে শুধু কাশী-বারাণসী বা উত্তরপ্রদেশ নয়, গোটা দেশেই কংগ্রেস কর্মীরা নতুন করে উজ্জীবিত হবেন। পাশাপাশি পরের বার বিধানসভা ভোটেও কংগ্রেসই উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় আসবে।’’
আরও পড়ুন: অন্ধ্রেও ‘একলা চলো’, লোকসভা-বিধানসভায় সব আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস
আরও পডু়ন: ‘দিদিমণিকে কালীঘাটে ফেরত পাঠাবেন জনতাই’, জয়নগরে বললেন দিলীপ ঘোষ
অজয় রাই বলেন, ‘‘কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা তো বটেই, বারাণসীর সাধারণ মানুষও প্রিয়ঙ্কাকে জেতাতে মুখিয়ে রয়েছেন। কারণ, মোদী হাওয়া উবে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ বিরক্ত। ছোট ব্যবসায়ী, যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছেন মোদী-শাহ জুটি। তাই তাঁদের অরাজকতা থেকে মানুষ মুক্তি চাইছেন।’’
যদিও কংগ্রেস হাই কমান্ডের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে ওই কর্মীদের দাবিকে দমিয়ে দেওয়ার মতো কোনও মন্তব্যও শীর্ষস্তরের নেতারা কেউ করেননি।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy