ছবি: এএফপি।
করোনার প্রতিষেধক ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত।
সরকারের একটি অংশের পরিকল্পনা, আসন্ন ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের সকালে করোনা টিকার আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হবে। অন্য দিকে সরকারেরই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ওই মন্ত্রকের কর্তারা আজ কমিটি সদস্যদের জানিয়েছেন, এ বছর স্বাধীনতা দিবস তো দূর, আগামী বছরের শেষের দিকে হয়তো আবিষ্কার হতে পারে করোনা টিকা। ফলে করোনার প্রতিষেধক নিয়ে সংশয় জারি রইল পূর্ণমাত্রায়।
২ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) একটি নির্দেশে আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে করোনা টিকা বাজারে আনার দিনক্ষণ ধার্য করে। মাত্র পাঁচ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে টিকা আবিষ্কারের প্রশ্নে ভাল-মন্দ বিচার না করেই কী করে তা বাজারে ছাড়া সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দেশের গবেষক ও চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ। তার পরেও অবশ্য গত কাল করোনার টিকা প্রশ্নে ‘আশার কথা’ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯-এ মধ্যবয়সিদের মৃত্যুহারে উদ্বেগ
আরও পড়ুন: মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার নিয়ে কংগ্রেসের নিশানায় কেন্দ্র
এই আবহে আজ করোনাভাইরাস ও প্রতিষেধক নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিল জয়রাম রমেশের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সূত্রের মতে, বৈঠকে বায়োটেকনোলজি মন্ত্রকের প্রতিনিধি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিজ্ঞান বিষয়ক মুখ্য পরামর্শদাতা কে বিজয় রাঘবন। বৈঠকে করোনা প্রতিষেধকের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান কমিটি সদস্যরা। সরকারি প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষেধক তৈরির প্রশ্নে বেশ কিছু ভারতীয় সংস্থা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তবে প্রতিষেধক বাজারে আসতে আরও এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কিসের ভিত্তিতে আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে টিকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে আইসিএমআর? স্বাস্থ্য মন্ত্রক এ নিয়ে নীরব। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাধারণত কোনও টিকা বাজারে ছাড়ার প্রশ্নে যে সময় লাগে, সেই হিসেব ধরেই আগামী বছরের শেষের কথা বলা হয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট টিকার বিষয়ে দিনক্ষণ জানায়নি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।
বিশ্বের ৬০% টিকা তৈরি হয় ভারতে। তাই কমিটির সদস্যদের আশা, করোনা টিকা আবিষ্কারেও ভারত প্রথম সারিতে থাকবে। বৈঠকে রামদেবের করোনা কিট, করোনা সারাতে বাজারে আনা ওষুধের বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তা নিয়ে নীরব থাকেন মন্ত্রকের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy