Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Coronavirus

সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমেছে, আশায় কেন্দ্র

কেন্দ্রের বক্তব্য, রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হতেও এখন সময় লাগছে আগের চেয়ে বেশি। এই সপ্তাহের গোড়ায় সেই হার ছিল ৭.৫ দিন। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯.১ দিন।

বেঙ্গালুরুর সিভি রমন সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: পিটিআই।

বেঙ্গালুরুর সিভি রমন সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩২
Share: Save:

দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা গত কাল সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত বেড়েছে ৬ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান ঘোষণা করে আশার আলো দেখিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কারণ তাদের মতে, মধ্য-মার্চে ভারতে করোনা-রোগীর সংখ্যা ১০০ পেরোনোর পর থেকে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার এত কম কখনও হয়নি।

কেন্দ্রের বক্তব্য, রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হতেও এখন সময় লাগছে আগের চেয়ে বেশি। এই সপ্তাহের গোড়ায় সেই হার ছিল ৭.৫ দিন। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯.১ দিন। এমনকি মোট সংক্রমিতদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার হার গত কাল পর্যন্ত ছিল ২০.৫৭ শতাংশ। আজ তা হয়েছে ২০.৬৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রিগোষ্ঠীর পর্যালোচনা-বৈঠকে আজ এই সমস্ত পরিসংখ্যানই পেশ করা হয়। করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রুটিন সাংবাদিক সম্মেলন আজ হয়নি। তাই বিবৃতি দিয়েই তথ্য জানিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৪,৯৪২। সুস্থ হয়েছেন ৫,২০৯ জন। মারা গিয়েছেন ৭৭৯ জন।

আরও পড়ুন: টেস্ট কিটের ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন

আরও পড়ুন: করোনা-যুদ্ধে পরিকল্পনাহীন কেন কেন্দ্র, প্রশ্ন কংগ্রেসের

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪৯০ জন। ওই সময়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ জন, যা নতুন রেকর্ড। মহারাষ্ট্রে মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৩০১। কিন্তু বিবৃতিতে কেন্দ্রের দাবি, ‘দেশে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু-হার ৩.১ শতাংশ। সেই হার এবং রোগীদের সুস্থ হওয়ার হার অধিকাংশ দেশের তুলনায় ভাল। লকডাউনের পাশাপাশি নির্দিষ্ট এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ রেখে (ক্লাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও কন্টেনমেন্ট) এই সাফল্য এসেছে।’

বিভিন্ন রাজ্যে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল ও আইসোলেশন ওয়ার্ড কতগুলি রয়েছে, পিপিই কিট, এন-৯৫ মাস্ক, ওষুধ, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সিলিন্ডার ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্য-পরিসংখ্যান আজ মন্ত্রিগোষ্ঠীর সামনে পেশ করা হয়। জানানো হয়, দেশের বাছাই করা সংস্থাগুলিতে ইতিমধ্যেই পিপিই ও মাস্ক তৈরি হচ্ছে। বিবৃতি বলছে, ‘বর্তমান হিসেবে দেশে রোজ এক লক্ষেরও বেশি পিপিই কিট ও এন-৯৫ মাস্ক তৈরি হচ্ছে। পিপিই বা বর্মবস্ত্র তৈরি করছে দেশের ১০৪টি সংস্থা, মাস্ক বানাচ্ছে তিনটি সংস্থা।’ এ ছাড়া দেশের ন’টি সংস্থা ৫৯ হাজারেরও বেশি ভেন্টিলেটর তৈরির বরাত পেয়েছে। সেই কাজও চলছে।

কেন্দ্র জানিয়েছে, সারা দেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, এনসিসি, এনএসএস-সহ স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ১ কোটি ২৪ লক্ষ করোনা-যোদ্ধার তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। কাজের পরিধির ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে এই সংক্রান্ত তথ্য নিরন্তর জানানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট এবং ‘আইগট’ পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে এঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ৯২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, নাগরিক ও স্বনির্ভর গোষ্ঠী দেশ জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। তাদের সাহায্য করছে জাতীয় খাদ্য নিগম।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE