Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Coronavirus in India

দেশে সংক্রমণে ফের রেকর্ড, বাড়ছে সুস্থতাও

পর-পর চার দিন ৩০ হাজার করে বেড়েছে সুস্থের সংখ্যা।

হিসেব বলছে, সংক্রমণের নিরিখে ১৭৯ দিনে ১৪ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে ভারত। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।

হিসেব বলছে, সংক্রমণের নিরিখে ১৭৯ দিনে ১৪ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে ভারত। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০ ০২:১০
Share: Save:

এক দিনে সংক্রমণে ফের রেকর্ড ভারতের। রেকর্ড করোনা-পরীক্ষাতেও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, গত কাল দেশ জুড়ে এই প্রথম পাঁচ লক্ষেরও বেশি জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। যাতে প্রায় ৫০ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবু চিন্তিত নয় মন্ত্রক। কারণ তাদের দাবি, করোনায় মৃত্যুর হার এখনও ভারতেই সবচেয়ে কম— মাত্র ২.২৮ শতাংশ। দেশে সুস্থতার হারও ৬৪ শতাংশ ছুঁইছুঁই।

হিসেব বলছে, সংক্রমণের নিরিখে ১৭৯ দিনে ১৪ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে ভারত। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ন’লক্ষেরও বেশি। পর-পর চার দিন ৩০ হাজার করে বেড়েছে সুস্থের সংখ্যা। কেন্দ্রের দাবি, লাগাতার পরীক্ষা এবং যথাযথ কন্টেনমেন্ট কৌশলেই সাফল্য আসছে দেশ জুড়ে। ভিডিয়ো কনফারেন্সে আজই নয়ডা, মুম্বই ও কলকাতায় তিনটি নতুন করোনা-পরীক্ষা কেন্দ্রের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেও দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আর্জি জানান তিনি।

আজই দেশি করোনা-প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস ও এসইউএম হাসপাতালে। সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে, প্রতিষেধকের না-আসা পর্যন্ত স্বস্তি নেই বলে মনে করছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: ২৭০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ! সিসিডি কর্ণধারের আত্মহত্যা কাণ্ডে নয়া

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

মহারাষ্ট্রে গত কালও ৯৪৩১টি নতুন সংক্রমণের খবর মিলেছে। এক দিনেই মারা গিয়েছেন এই রাজ্যের ২৬৭ জন। মোট সংক্রমণ চার লক্ষ ছুঁইছুঁই। কিন্তু এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি এলাকা ধারাভিতে কাল মাত্র দু’জন নতুন রোগীর সন্ধান মিলেছে। গোড়ায় বেলাগাম পরিস্থিতি তৈরি হলেও, এখন ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ বলে দাবি করেছে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকারও। তাঁর রাজ্যে সুস্থতার হার এখন ৮৮ শতাংশ বলে দাবি করেছেন কেজরীবাল।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in India Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE