ছবি: সংগৃহীত।
করোনা-আতঙ্কে বন্ধ সব স্কুল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নবম ও দশম শ্রেণির পড়াশোনা। সেই কারণে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিকল্প ও বিনামূল্যে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করল নাগাল্যান্ড সরকার।
ই-গভর্ন্যান্সে উত্তর-পূর্বের সেরা রাজ্য চিহ্নিত হয়েছে নাগাল্যান্ড। সেই ধারা বজায় রেখেই তারা ঘোষণা করল, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় যাতে ব্যাঘাত না-হয় তার জন্য দিল্লির একটি সংস্থা বিশেষ ভাবে 'ব্রাইট টিউটি' নামে ডিজিটাল লার্নিং অ্যাপ তৈরি করেছে নাগাল্যান্ডের জন্য। আপাতত তার মাধ্যমে রাজ্য মধ্যশিক্ষা বোর্ডের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী অঙ্ক ও বিজ্ঞান বিষয়ে লেখাপড়া চলবে। নবম শ্রেণির পড়াশোনা গোটা শিক্ষাবর্ষ জুড়েই বিনামূল্যে হবে। দশম শ্রেণির ডিজিটাল পঠন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিনামূল্যে চলবে। অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষকেরা ক্লাসরুমে পড়ানোর মতোই পড়া দেওয়া, পরীক্ষা নেওয়া, রিভিশন, সংশোধন--- সব করতে পারবেন। এই অ্যাপ একই সঙ্গে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থেকে চালানো যাবে।
অসম সরকারও ঘোষণা করেছে, স্কুল বন্ধ থাকলেও লেখাপড়ায় যাতে ব্যাঘাত না-ঘটে তার জন্য ক্লাস ভিত্তিক হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করবে স্কুল। ছাত্রসংখ্যা বেশি হলে গুগল ক্লাসরুমের সাহায্য নেওয়া হবে। এর পরে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই চলবে পড়াশোনা। যে সব বাবা-মায়ের স্মার্টফোন নেই, সেখানে স্থানীয় যুবক বা ক্লাবের সাহায্য নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছে নির্দিষ্ট সময়ে স্মার্টফোনের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পড়া বুঝিয়ে দেওয়া ছাড়াও তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপেই বাড়ির কাজ করতে দেবেন। গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য বিষয় নিয়ে ছোট ভিডিয়ো আপলোড করবেন শিক্ষকরা। যে-সব ছাত্রছাত্রীর পড়া বুঝতে সমস্যা হবে, শিক্ষকেরা তাঁদের বাড়ি গিয়ে দেখিয়ে আসবেন। হোয়াটসঅ্যাপ পঠনপাঠন চলবে সকাল ৭টা থেকে ৯টা ও রাত ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বিদেশযাত্রার রেকর্ড নেই, বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে পুণেতে করোনা ধরা পড়ল মহিলার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy