Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
National News

করোনায় থমকাবে এনপিআর, জনগণনা

স্বরাষ্ট্র কর্তারাও স্বীকার করছেন, যেহেতু কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে সে কারণে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

অনমিত্র সেনগুপ্ত
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ০৩:৩৪
Share: Save:

এনআরসি এবং সিএএ-র সঙ্গেই যে এনপিআর ঘিরে এত বিতর্ক, করোনার আতঙ্কে সেই এনপিআর-এর ভবিষ্যৎই বিশ বাঁও জলে। জাতীয় জনগণনার কাজও তা-ই। আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল জনগণনা ও এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জির তথ্য সংগ্রহের কাজ। করোনায় অনেক রাজ্যই ‘লকডাউনে’ চলে যাওয়ায় এ সবও পিছিয়ে যাওয়ার পথে। কবে থেকে কাজ শুরু হবে, সেই প্রশ্নে দিশাহীন কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দেশ করোনা-মুক্ত হয়েছে বলে সরকারি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণনার কোনও কাজ শুরু হবে না।

এপ্রিল মাস থেকে গোটা দেশে জাতীয় জনগণনার তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। জনগণনার সঙ্গেই এনপিআর-এর তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্তও নিয়েছিল মোদী সরকার। ঠিক হয়েছিল, ১ এপ্রিল থেকে দিল্লি, পুদুচেরি, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান-নিকোবরের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য নেবেন কর্মীরা। কিন্তু করোনার প্রকোপ দেখে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে ওই কাজ শুরু না করার দাবি জানানো হয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে গোটা প্রশাসন করোনা রুখতে সক্রিয়। এর মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হলে তা সংক্রমণের আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। সেই কারণে জনগণনা এবং ওই সংক্রান্ত সমস্ত কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হোক।

স্বরাষ্ট্র কর্তারাও স্বীকার করছেন, যেহেতু কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে সে কারণে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ১ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করা যে সম্ভব হবে না, তা মেনে নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র কর্তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়ালও জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণনার কাজ শুরু করা কার্যত অসম্ভব। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহে এই কাজ পিছোনোর নির্দেশিকা জারি করতে পারে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: ‘জেলে ভিড় কমাতে ভাবুন জামিনের কথা’

আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে যে জনগণনার কাজ শুরু হয়ে তা চলার কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এক স্বরাষ্ট্র কর্তার কথায়, হাতে সময় রয়েছে। কত দিনে দেশ করোনা-মুক্ত হয় সেটাই এখন দেখার। যদি বেশি সময় লাগে, সে ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের অন্তিম সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কোনও ভাবেই মানুষের প্রাণের ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus NPR NRC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE