ছবি পিটিআই
পরপর তিন দিন রেকর্ড সংক্রমণ। গত কাল দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছিল ৬৬৫৪ জন। আজ ৬৭৬৭ জন। ১৪৭ জন মারা গিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১,৩১,৮৬৮ জন। এঁদের মধ্যে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৩,৫৬০। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৮৬৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫৪,৪৪০ জন। গত রবিবার দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৯০,৯২৭। সুতরাং সাত দিনের মধ্যে রোগী বেড়েছে প্রায় ৪১ হাজার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যদিও বক্তব্য, মোট রোগীর ৪১.২৮ শতাংশই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হতে আর সপ্তাহখানেক বাকি। শুরু হচ্ছে ট্রেন ও বিমান চলাচল, ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতিতে রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় অসমে যেমন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৯২। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, আক্রান্তদের সিংহভাগই বাইরে থেকে ট্রেনে ও সড়কপথে এসেছেন। এঁদের মধ্যে মহারাষ্ট্র থেকে আসা মানুষদের মধ্যেই সর্বাধিক
কোভিড পজ়িটিভ রোগী মিলেছে। আবার কোয়রান্টিন হওয়ার ভয়ে কেরল ও তামিলনাড়ু থেকে ট্রেনে অসমে ফেরার পথেই চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে পালিয়েছেন এক দল শ্রমিক। পুলিশ তাঁদের খুঁজছে। বাসে করে দিল্লি থেকে অরুণাচলে ফেরা এক ছাত্রের আজ করোনা ধরা পড়ে। সেই বাসে ৩৩ জন ছিলেন। চিন্তা রয়েছে তাঁদের নিয়েও।
গত কাল দেশের ১১টি পুর এলাকার কমিশনার ও স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদন। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের এই ১১টি পুর এলাকাতেই দেশের মোট ৭০ শতাংশ করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। এই ১১টি পুর কর্তৃপক্ষকে আগামী দু’মাসে তাদের এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো জোরদার করতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব।
আরও পড়ুন: পিপিই-মাস্কের চাহিদা মিটিয়ে আশা রফতানির
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy