ছবি: এএফপি।
মাথার উপরের ছাদ উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ফণী। মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে কাঁচা বাড়ির গোটাটাই। কিন্তু বেঁচে গিয়েছে শৌচালয়টি! ফলে সপরিবার এখন সাত ফুট বাই ছয় ফুটের শৌচালয়েই ঠাঁই নিয়েছেন ওড়িশার কেন্দ্রাপড়ার রঘুদেইপুরের বাসিন্দা ক্ষীরোদ জেনা।
পাকা ঘর হওয়ার জন্যই ৩ মে ফণীর গ্রাস থেকে বেঁচে গিয়েছে শৌচালয়টি। তখন থেকে স্ত্রী এবং দুই কিশোরী মেয়েকে নিয়ে সেখানেই রয়েছেন ক্ষীরোদ। কেন্দ্রের ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’-এর অধীনে সরকারি সাহায্যের টাকায় শৌচালয়টি তৈরি করেছিল দরিদ্র দলিত পরিবারটি। ঘূর্ণিঝড়ের দু’দিন আগেই সেটি ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।
বছর ৫৮-এর ক্ষীরোদ বলেন, ‘‘ফণী বাড়িটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সঙ্গে আমাদের জীবনটাও। পাকা শৌচালয়টিতে মাথা গুঁজে রয়েছি বাধ্য হয়ে। তবে কত দিন এ ভাবে থাকতে হবে জানি না।’’ ফের বাড়ি বানানোর সামর্থ্য নেই তাঁর। শৌচালয়ে থাকছেন। অগত্যা শৌচকর্ম সারতে ফের খোলা মাঠই একমাত্র ভরসা। ঘূর্ণিঝড়ের পরে বরাদ্দ সরকারি সাহায্য এলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারে বলে আশা তাঁর। সে জন্যই হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছেন এখন।
শুধু শৌচালয় নয়। সরকারি সাহায্য নিয়ে পাকা বাড়ি তৈরির স্বপ্নও দেখেছিলেন ক্ষীরোদ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কিংবা বিজু পাকা ঘর প্রকল্পে সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সরকারি কর্তারা ফিরিয়ে দেন। যদি সময় মতো সরকারি সাহায্য পেতাম তা হলে বাড়িটা আজ ঝড়ে এ ভাবে উড়ে
যেত না।’’
সম্প্রতি বিষয়টি নজরে এসেছে জেলার গ্রামোন্নয়ন সংস্থার। সেখানকার প্রজেক্ট ডিরেক্টর দিলীপকুমার পারিদা বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পরে দেরাবিশ ব্লকের একটি পরিবার শৌচালয়ে দিন কাটাচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ সাহায্য ছাড়াও পাকা বাড়ি তৈরির জন্যও সাহায্য পাবেন তাঁরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy