Advertisement
E-Paper

বেজিং-নীতিকে আক্রমণ কংগ্রেসের

প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ শীর্ষ ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। এই ধারাবাহিক আলোচনায় মূলত মৈত্রীর সুরটিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে সাউথ ব্লক। কিন্তু শেষ দিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম অস্বস্তির বিষয়টিকে স্পষ্ট করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:০৫
চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংঘের সঙ্গে নির্মলা সীতারামন। ছবি: এপি।

চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংঘের সঙ্গে নির্মলা সীতারামন। ছবি: এপি।

চিন-পাকিস্তান প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে চিনা মন্ত্রীর সামনে সরব হল ভারত। কংগ্রেসের যদিও দাবি, এ নেহাতই নাম-কা-ওয়াস্তে।

চার দিনের সফরে এসেছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংঘে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ শীর্ষ ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। এই ধারাবাহিক আলোচনায় মূলত মৈত্রীর সুরটিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে সাউথ ব্লক। কিন্তু শেষ দিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম অস্বস্তির বিষয়টিকে স্পষ্ট করা হয়েছে।

এর আগে নানা মঞ্চে ভারত-চিন প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ (ওবর) প্রকল্পটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। কেন্দ্রের বক্তব্য, ওবরের অন্তর্গত চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরটি গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে। এই এলাকাটি বেআইনিভাবে জবরদখল করে রেখেছে ইসলামাবাদ। এমন একটি বিতর্কিত এলাকায় তৃতীয় কোনও দেশের নির্মাণকার্য কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় ভারতের পক্ষে। ডোকলামের পরে চিন সম্পর্কে অনেকটাই নরম নীতি নিয়ে চলছে মোদী সরকার। উহানের ঘরোয়া বৈঠকে চেষ্টা করা হয়েছে চিনকে প্রশমিত করে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পথে হাঁটার। চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভারত সফরেও এই নরম মনোভাবেরই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। দু’দিন আগে মোদীর সঙ্গে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফেংঘের বৈঠকের পরে সরকারি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, সীমান্তে শান্তি এবং সুস্থিতি বজায় রয়েছে। দু’দেশ পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই সীমান্ত নিয়ে মতপার্থক্য মেটানোর চেষ্টা করবে।

আরও পড়ুন: লন্ডনে বসেও রাফাল নিয়ে তির রাহুলের

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ডোকলামে মূলত যা নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল, সেই কারণটি কিন্তু থেকেই গিয়েছে। ডোকলামে রাস্তা, বাঙ্কার-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছিল বেজিং। দু’দেশের সেনা সরে যাওয়ার পরেও কিন্তু সেই রাস্তা কিংবা পরিকাঠামো ভেঙে দেয়নি চিন। অর্থাৎ ভবিষ্যতে সীমান্তে কোনও সংঘাত তৈরি হলে দ্রুত চিনা সেনা সেখানে চলে আসতে পারবে।

তবে ভারত আপাতত বিষয়টি নিয়ে চোখ বন্ধ করে থাকারই নীতি নিয়েছে। কিন্তু চিন-পাকিস্তান করিডরের বিষয়টি নিয়ে একেবারে চুপ থাকাটা ঘরোয়া রাজনীতির ক্ষেত্রে মোদী সরকারের কাছে অস্বস্তিকর। কংগ্রেসের বক্তব্য, আজ চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সামনে পাকিস্তান-করিডরের প্রসঙ্গ নামমাত্র উল্লেখ করে প্রতীকী বিরোধিতাটুকু জানাল ভারত।

China India Congress BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy