গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
স্বামী নাকি দেখতে ‘কুৎসিত’। শিল্পী স্বামীর বাউন্ডুলে স্বভাবও পছন্দ ছিল না। এই নিয়ে দাম্পত্য কলহ ছিল কার্যত রোজকার ঘটনা। এমনকি স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও তা কমেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাতে পারেন কোনও মহিলা, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন দিল্লির রণহোলা এলাকার বাসিন্দারা। প্রবীণ পুলিশকর্তারাও বলছেন, তাঁদের দীর্ঘ কর্মজীবনে এরকম ঘটনার কথা শোনেননি।
কী করেছেন বছর বাইশের অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলা? অভিযোগ, চুমু খাওয়ার সময় কামড়ে কার্যত স্বামীর অর্ধেক জিভই কেটে নিয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। আপাতত দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে ভর্তি করণ নামে ওই যুবক। কথা বলতে পারছেন না। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী কাজলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার হয়েছে। প্রাণে বাঁচলেও ভবিষ্যতে আর কোনওদিন কথা বলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
করণ লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলের দিকে এক দফা ঝগড়া হয় দু’জনের। তার জেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর রাতের দিকে বাড়ি ফিরলে ফের শুরু হয় বাক-বিতণ্ডা। তার মধ্যেই স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন করণ। স্ত্রীও তাতে বাধা দেননি। কিন্তু আচমকাই প্রচণ্ড জোরে জিভ কামড়ে প্রায় অর্ধেকটা ছিঁড়ে নেন।
আরও পডু়ন: স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জঞ্জালে লুকিয়ে জেল থেকে পালাল বন্দি
ওই দম্পতির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ আচমকাই করণের আর্তনাদে তাঁরা ছুটে যান। গিয়ে দেখেন, কার্যত অর্ধেক জিভই কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁরাই করণকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে করণের বাবা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রণহোলার বিকার নগর এলাকার যুবক করণের সঙ্গে বিয়ে হয় কাজলের। ওই দম্পতির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামীর চেহারা নিয়ে বিদ্রুপ, উপহাস করতে শুরু করেন কাজল। তাছাড়া শিল্পী করণের রোজগার ও খামখেয়ালি স্বভাব নিয়েও ঝগড়া-বিবাদ কার্যত নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কাজল স্বীকার করেছেন, এই সব কারণেই স্বামীর জিভ কামড়ে কেটে নিয়েছেন তিনি।
আরও পডু়ন: ভারত দেখিয়ে দিল কেন এগিয়ে, মত আসিফের
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ স্বীকার করেছেন ধৃত মহিলা। ৩২৬ ধারায় (ধারালো অস্ত্র বা অন্য কিছু দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy