ছবি পিটিআই।
আগামী সোমবার থেকে লকডাউন আরও শিথিল করার দাবি তুললেন দিল্লিবাসী।
চতুর্থ দফা লকডাউনে দিল্লির মানুষ কী ছাড় চান, তা সপ্তাহের শুরুতে রাজধানীর জনগণের কাছে জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। প্রায় ৫ লক্ষ পরামর্শ জমা পড়েছে দিল্লি সরকারের কাছে। যার ভিত্তিতে আজ কেজরীবাল জানিয়েছেন, দিল্লির বড় সংখ্যক মানুষ চাইছেন, ১৭ মে-র পর থেকে লকডাউনের শর্ত আরও শিথিল করা হোক। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও গণপরিবহণের ক্ষেত্রে। তবে স্কুল-কলেজ, সেলুন, হোটেল বা শপিং মল— আপাতত এগুলি বন্ধ রাখার জন্যই সুপারিশ করেছেন অধিকাংশ দিল্লিবাসী। আজ বিষয়টি নিয়ে দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গে বৈঠক করেন কেজরীবাল। চতুর্থ দফা লকডাউনে দিল্লি সরকার কী চাইছে, তা কেন্দ্রকে এর পরে জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ দিল্লিবাসীর উদ্দেশে একটি বার্তায় কেজরীবাল বলেন, একাধিক বাজার সমিতি (মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন) থেকেও সুপারিশ পেয়েছি। যাতে ব্যবসার স্বার্থে অন্তত জোড়-বিজোড় নীতি মেনে দোকান খোলার সুপারিশ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা ভেবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিবাসীর একটি বড় অংশের পক্ষ থেকে পারস্পরিক দূরত্বের নীতি মেনে বাস, অটো, ই-রিকশা বা অ্যাপ নির্ভর ক্যাব চালানোরও দাবি উঠেছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, রাজধানীর বড় অংশে সরকারি-বেসরকারি দফতর খুলে গিয়েছে। অথচ মেট্রো-বাস কিংবা অটো— সব পরিষেবাই বন্ধ। ফলে অফিসযাত্রীদের দফতরে পৌঁছতে প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেই সমস্যার সমাধানে পারস্পরিক দূরত্বের নিয়ম মেনে বাস, অটোর মতো গণপরিবহণ ব্যবস্থা অন্তত চালু করার দাবি তুলেছেন বহু মানুষ। একই সঙ্গে খুব অল্প সংখ্যায় হলেও মেট্রো পরিষেবা আবার শুরু করা যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন কেজরীবাল।
আরও পড়ুন: হাতে এক নয়া পয়সাও নয়, পরিযায়ী-পাতে শুধুই চাল, ডাল
আরও পড়ুন: শ্রমিক ফেরাতে ১০৫ ট্রেন, কটাক্ষ কেন্দ্রের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy