Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভারতের শংসাপত্রেই অ্যান্টিগায় ঠাঁই চোক্সীর

কী ছিল নথিতে? ‘অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট’ (সিআইইউ) আজ বলেছে, ‘‘মুম্বইয়ের আরপিও জানিয়েছিল, মেহুল চিনুবভাই চোক্সীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সেই কারণেই অ্যান্টিগা-বারবুডার ভিসা-সহ বিদেশ সফরের অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি।’’

মেহুল চোক্সী। —ফাইল চিত্র।

মেহুল চোক্সী। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০৪:০৮
Share: Save:

২০১৭ সালের মে মাস। অ্যান্টিগার নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছিলেন মেহুল চোক্সী। মুম্বইয়ের রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিস (আরপিও)-র দেওয়া পুলিশি ছাড়পত্র সংক্রান্ত নথি জমা দিয়েছিলেন ক্যারিবীয় রাষ্ট্রটির কাছে।

কী ছিল নথিতে? ‘অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট’ (সিআইইউ) আজ বলেছে, ‘‘মুম্বইয়ের আরপিও জানিয়েছিল, মেহুল চিনুবভাই চোক্সীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সেই কারণেই অ্যান্টিগা-বারবুডার ভিসা-সহ বিদেশ সফরের অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি।’’

মেহুল ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদীকে নরেন্দ্র মোদী সরকার বিদেশে পালাতে দিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারের বক্তব্য, ‘‘মেহুলকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (পিসিসি) দিয়েছিল মুম্বইয়ের পাসপোর্ট অফিস। সেই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টের ভিত্তিতে। ওই রিপোর্ট যথাযথ ছিল।’’

সিআইইউ-এর দাবি, মেহুলকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সিকিওরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)-ও। নিজস্ব তদন্তে অ্যান্টিগা প্রশাসন জানতে পেরেছিল, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে মেহুলের সংস্থার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়েছিল। সিআইইউ-এর দাবি, এ নিয়ে সেবি-র কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেছিল, সন্তোষজনক রিপোর্ট পাওয়ায় একটি মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যটিতে মেহুলের বিরুদ্ধে
কোনও প্রমাণ মেলেনি। যদিও সেবি-র দাবি, ‘‘সিআইইউ-এর কাছ থেকে মেহুল সম্পর্কে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। ওদের কোনও তথ্যও দেওয়া হয়নি।’’

সিআইইউ-এর দাবি, মেহুলকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে তাঁর অতীত-বর্তমান সম্পর্কে যথাসম্ভব খোঁজখবর নিয়েছিল তারা। খোঁজ নেওয়া হয়েছিল ইন্টারপোলের কাছেও। কিন্তু তাদের কাছেও এই রত্ন-ব্যবসায়ী সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না। এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সিবিআই বা ইডি কেন ইন্টারপোলকে মেহুল সম্পর্কে কিছু জানায়নি? এটা কি তাদের তরফে ইচ্ছাকৃত গাফিলতি নয়?’’ মেহুল অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নেন এ বছরের জানুয়ারিতে। আর এপ্রিলেই সে দেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনের সঙ্গে বৈঠক করে আসেন নরেন্দ্র মোদী। তখনও কেন তিনি মেহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু বলেননি, সেই প্রশ্নও তুলেছে কংগ্রেস।

স্বভাবতই চাপে কেন্দ্র। মেহুলকে ফেরাতে সিবিআইয়ের আর্জিটি অ্যান্টিগা সরকারের কাছে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ জানান, নীরব মোদীর বিরুদ্ধে দু’টি রেড কর্নার নোটিস জারি করেছে ইন্টারপোল। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য ব্রিটেনের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

মেহুল চোক্সী Mehul Choksi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE