রবিশঙ্কর প্রসাদ। ফাইল চিত্র।
চিনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে গত সোমবার থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে শুরু করে দিয়েছে ভারত। লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দফায় দফায় বৈঠকেও সমাধান সূত্র না মেলায় ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ চিনের বিরুদ্ধে ভারতের এই পদক্ষেপকে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ বলে উল্লেখ করলেন।
ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশবাসীর তথ্য সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে গত সোমবার ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ভারত। এ দিন সেই প্রসঙ্গে রবিশঙ্কর বলেন, “দেশবাসীর তথ্য নিরাপত্তার স্বার্থেই চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছি আমরা। এটা একটা ডি়জিটাল স্ট্রাইক।” এর পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারত শান্তির পক্ষে। কিন্তু কেউ যদি আমাদের চোখ রাঙায়, তা হলে তার উপযুক্ত জবাব দেব।”
নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপগুলোর মধ্যে যেমন রয়েছে জনপ্রিয় টিকটক ভিডিয়ো অ্যাপ, শেয়ারইট। তেমনই রয়েছে ওয়েবো, উইচ্যাট-এর মতো বহুল প্রচলিত অ্যাপগুলোও। বুধবারই ওয়েবো থেকে নিজের অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ দিন রবিশঙ্কর আত্মনির্ভরতার প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বিদেশি অ্যাপগুলোর উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় অ্যাপ তৈরি ও ব্যবহারের উপর জোর দেন তিনি। রবিশঙ্কর বলেন, “বিদেশি অ্যাপগুলোর উপর আমাদের নির্ভরতা কমানো উচিত। চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশীয় সংস্থাগুলো অ্যাপ তৈরির সুযোগ পাবে। নতুন নতুন অ্যাপ তৈরি করবে।”
আরও পড়ুন: সেনা সরাতে সামরিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চলছে, জানাল সেনা সূত্র
ডি়জিটাল ইন্ডিয়ার পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ দিন একটি বৈঠকের আয়োজন করে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। সেই বৈঠক থেকেই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অ্যাপ তৈরির ডাক দেন। গত সোমবার যখন চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র, সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিলেন রবিশঙ্কর। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, অখণ্ডতা বজায় রাখতে এবং নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ভারত সরকার ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy