Advertisement
E-Paper

‘ত’-এ তরোয়ালই চান প্রধানমন্ত্রী

দিল্লিতে শুরু করছিলেন ‘ফিট ইন্ডিয়া’ অভিযান। সেখানেই নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘‘ষাট-সত্তর-আশির দশকে যাঁরা স্কুলে পড়তেন, তাঁদের পড়ানো হত ‘ত’-এ তরোয়াল।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ০৩:০০
‘ফিট ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির সূচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শিল্পা শেট্টি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে । ছবি: প্রেম সিংহ

‘ফিট ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির সূচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শিল্পা শেট্টি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে । ছবি: প্রেম সিংহ

হাতে ‘তরোয়াল’ই চান প্রধানমন্ত্রী।

দিল্লিতে শুরু করছিলেন ‘ফিট ইন্ডিয়া’ অভিযান। সেখানেই নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘‘ষাট-সত্তর-আশির দশকে যাঁরা স্কুলে পড়তেন, তাঁদের পড়ানো হত ‘ত’-এ তরোয়াল। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কিছু সীমিত ভাবনার মানুষ দেশের ঐতিহ্যকে বেলাইন করেছেন। কিছু বুদ্ধিমান মানুষের মনে হল, ‘ত’-এ তরোয়াল শেখানো হলে শিশুদের মনে হিংসার প্রবৃত্তি জন্ম নেবে। তখন থেকে ‘ত’-এ তরমুজ পড়ানো শুরু হল। এর ফলে শরীর চর্চার ক্ষতি হয়েছে।’’

আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে রামনবমীর সময় হাতে তরোয়াল নিয়ে মিছিল ঘিরে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর মিছিলে ছোটদের হাতে অস্ত্র দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল শিশু সুরক্ষা কমিশনও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি-আরএসএসের কর্মীরা মাথায় ফেট্টি বেঁধে, হাতে তরোয়াল-গদা নিয়ে রাজ্যের মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন। তা বাংলার সংস্কৃতি নয়। কিন্তু অনেকেরই ব্যাখ্যা, এ বারে ভারতের সাহসিকতার ঐতিহ্যের যুক্তি দেখিয়ে ছোটদের তরোয়াল শেখানোর পক্ষেই সওয়াল করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

বিজেপির মতে, গত কয়েক দশকে কংগ্রেস জমানায় বামপন্থার প্রভাবে ভারতের চিরাচরিত ঐতিহ্য ধীরে ধীরে মুছে গিয়েছে। ইতিহাসকেও বিকৃত করা হয়েছে। তা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগেই ভারতের নিজস্ব ‘যোগ’ বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেটি যেমন গণ-আন্দোলনের আকার নিয়েছে, এ বারে ‘ফিট-ইন্ডিয়া’ অভিযানের মাধ্যমেও তেমন সাড়া ফেলা যাবে বলে দল আশাবাদী।

দিল্লির মঞ্চেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন, ‘ফিটনেস’-এর বিষয়টি পঞ্চায়েত স্তরে গিয়ে প্রচার করতে হবে। এটিকে জনপ্রিয় করতে মোদী এমন কিছু কথাও বলেন, যা সহজে উৎসাহীদের মনে দাগ কাটতে পারে। যেমন তিনি বলেন, ‘‘শরীর ফিট হলে মন হিট। নিজে ফিট হলে ভারতও ফিট। সাফল্যের জন্য লিফ্‌ট নেই, সিঁড়ি ভাঙতেই হবে। আলস্য কাটিয়ে শরীরচর্চায় মন দিতেই হবে। বড় সংস্থার বোর্ডরুম বা বলিউডে সাফল্যের জন্য অভিন্ন মন্ত্র ‘ফিটনেস’। এর জন্য বিনিয়োগ ‘শূন্য’, প্রাপ্তি অসীম।’’

বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিও আজ ছিলেন অনুষ্ঠানে। ফিটনেস প্রচারে যাঁকে উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে। মোদীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তিনি। পাশে ছিলেন দিল্লিতে বিজেপি-র সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। সম্প্রতি বলিউড-ক্রীড়া দুনিয়া থেকে অনেককে বিজেপিতে এনেছেন তিনি।

Narendra Modi FitIndia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy