জেএনইউ-য়ের ‘দেশদ্রোহী’ কাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে কানহাইয়া কুমারের নাম না থাকায় দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে ধর্নায় বসল সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি।
গত কাল দিল্লি পুলিশের ফাঁস হওয়া একটি রিপোর্ট সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠনকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। তাতে জানা গিয়েছে, ঠিক এক বছর আগে জেএনইউয়ে হওয়া ‘দেশদ্রোহী’ বিতর্কে অভিযুক্ত কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ কিংবা অর্নিবাণ ভট্টাচার্যদের বিরুদ্ধে এখনও চার্জশিট পেশ করতে পারেনি পুলিশ। সে দিনের অনুষ্ঠানের প্রায় ৪০টি ভিডিও খতিয়ে দেখে কানহাইয়ার মুখে দেশবিরোধী কোনও স্লোগান খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। তবে ফাঁস হওয়া রিপোর্ট জানিয়েছে, সংসদে হামলাকারী আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদে সে দিন জেএনইউ চত্বরে হওয়া সভায় অন্তত ১০ জন কাশ্মীরি বহিরাগত ছিল। যারা ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। তবে কানহাইয়ার নাম বাদ পড়ার খবরে আজ বিক্ষোভে নামে এবিভিপি। কয়েক দিন ধরেই রামজস কলেজকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে রয়েছে দিল্লির ছাত্র রাজনীতি। সেখানে এবিভিপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আজ কানহাইয়ার দিকেই আক্রমণের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেয় সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন। কানহাইয়া পাল্টা বলেছেন, ‘‘আমরা দেশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলি না। সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধেই সরব হই। প্রশাসনকে পার্থক্যটা বুঝতে হবে।’’
আরও পড়ুন: শ্রীনিবাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প, আশা দেখছে দিল্লি
গোপন রিপোর্ট ফাঁস হওয়ায় তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে দিল্লি পুলিশও। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র দীপেন্দ্র পাঠক বলেন, ‘‘কানহাইয়া কুমারের চার্জশিট সংক্রান্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, তা সংবাদমাধ্যমের কল্পনাপ্রসূত। এখনও তদন্ত চলছে। ঠিক সময়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে পুলিশ।’’ কানহাইয়া দেশবিরোধী স্লোগান দিয়েছিল কিনা, তা নিয়ে স্পষ্ট উত্তর দিতে চাননি তিনি।
এরই মধ্যে খালসা কলেজে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন আইসা-র প্রতিনিধিদের উপর হামলার অভিযোগে দুই এবিভিপি সদস্যকে আজ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত প্রশান্ত মিশ্র ও বিনায়ক শর্মাকে সাময়িক ভাবে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করেছে এবিভিপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy