Advertisement
E-Paper

প্রথমে রাহুল, পরে ইয়েচুরি-পওয়ার, পরপর বৈঠকে চন্দ্রবাবু, দিল্লিতে বিরোধী তৎপরতা তুঙ্গে

সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এলে বিজেপি যাতে কোনও অতিরিক্ত সুবিধা না পায়, তা নিশ্চিত করতেই বিরোধী দলগুলিকে এক সূত্রে গাঁথতে চাইছেন তিনি, এমনটাই জল্পনা রাজধানীর অন্দরমহলে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৯ ১৫:২৬
চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।

চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।

এখনও চলছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। তার মধ্যেই নয়াদিল্লিতে চূড়ান্ত তৎপরতা দেখা যাচ্ছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। গতকালের পর আজও ফের ঝোড়ো গতিতে রাজধানীতে একের পর এক বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে তেলুগু দেশম নেতা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুকে। প্রথমে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, পরে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আজ বিকেলেই আবার ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি, জানা যাচ্ছে এমনটাই।

গতকালই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে নয়াদিল্লি। তার পর লখনউ হয়ে আবার রাজধানী। ফলঘোষণার পর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কৌশল কী হবে, তা ঠিক করতে এখন আক্ষরিক অর্থেই ঝোড়ো মেজাজে চন্দ্রবাবু। গতকাল রাজধানীতে আসার পরই তিনি ম্যারাথন বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি প্রধান শরদ পওয়ার, লোকতান্ত্রিক জনতা দল নেতা শরদ যাদব এবং বামপন্থী দলগুলির সঙ্গে। আজ ফের তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য বৈঠক করেন রাহুল গাঁধী, শরদ পওয়ার এবং সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে।

এর পরই তিনি উড়ে গিয়েছিলেন লখনউ-এ। সেখানে তিনি বৈঠক করেন উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধী জোটের মূল কাণ্ডারী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এবং বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতীর সঙ্গে। শুধু দেখা করাই নয়, তাঁদের সৌজন্যের অংশ হিসেবে তাঁদের আম উপহারও দেন তিনি।

শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে চন্দ্রবাবু নায়ডু। ছবি: পিটিআই।

আরও পড়ুন: মোদী, রাহুল না অন্য কেউ? কার দখলে দিল্লি, আজ বিকেলেই ইঙ্গিত বুথফেরত সমীক্ষায়

একের পর এক বৈঠক করলেও সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন চন্দ্রবাবু। মনে করা হচ্ছে, শাসক এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে বিরোধীদের ভূমিকা কী হবে, তা ঠিক করতেই জোরদার শলা পরামর্শ চালাচ্ছেন তিনি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এলে বিজেপি যাতে কোনও অতিরিক্ত সুবিধা না পায়, তা নিশ্চিত করতেই বিরোধী দলগুলিকে এক সূত্রে গাঁথতে চাইছেন তিনি, এমনটাই জল্পনা রাজধানীর অন্দরমহলে।

শুধু চন্দ্রবাবু নন, তৎপরতা দেখা যাচ্ছে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিতেও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রাহুল। কংগ্রেস এবং বিজেপি বিরোধী জোট সরকার গড়ার ডাক দিয়ে দিয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এবং টিআরএস নেতাকে চন্দ্রশেখর রাও।

আরও পড়ুন: একাধিক ইস্যুতে এনডিএ-বিরোধী সুর! বুথফেরত সমীক্ষার আগে নীতীশের মন্তব্যে জল্পনা

এরই মধ্যে বিজেপি শিবিরের উদ্বেগ বাড়িয়ে কিছুটা বেসুরো গাইছেন বিহারে তাদের জোট সঙ্গী এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকারীকে দেশপ্রেমিক আখ্যা দেওয়া প্রজ্ঞা ঠাকুরকে নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে মন কষাকষি শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপির।

লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ Lok Sabha Election 2019 Chandrababu Naidu Rahul Gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy