এই ট্রাঙ্ক নিয়েই নির্বাচন কমিশনে গিয়েছে কংগ্রেস। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারে ‘রহস্যজনক’ ট্রাঙ্ক! অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নামার আগেই তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা সেই ট্রাঙ্কটি তড়িঘড়ি হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনের কাছে ওই ‘ঘটনা’র তদন্তের আর্জি জানাল কংগ্রেস।এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীরও বক্তব্য জানতে চাইলেন কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মা। ট্রাঙ্কের ভিতরে কী ছিল,জানতে চেয়েছেন তিনি।
বিতর্কের সূত্রপাত গত সপ্তাহে। কর্নাটকের চিত্রদুর্গে ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে তাঁর হেলিকপ্টার থেকে একটি কালো রঙের ট্রাঙ্ক তড়িঘড়ি নামানো হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ হিসেবে শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও।
সেই ভিডিয়োয় প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার থেকে একটি কালো রঙের ট্রাঙ্ক নামাতে দেখা যায় কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীকে। দৌড়তে দৌড়তে সেটি নিয়ে গিয়ে একটি ইনোভা গাড়িতে তুলতে দেখা যায় তাঁদের। গাড়িটি সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয়ে যায়।
A mysterious box was unloaded from PM Modi’s helicopter at Chitradurga yesterday and loaded into a private Innova which quickly sped away. The #ElectionCommission should enquire into what was in the box and to whom the vehicle belonged. @ceo_karnataka pic.twitter.com/iudqT143Bv
— D K Shivakumar, President, KPCC (@KPCCPresident) April 13, 2019
দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের টুইট।
আরও পড়ুন: ইভিএমে কারচুপি! ফেরাতে হবে ব্যালট, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে ২০ দলের বিরোধী জোট
টুইটারে ভিডিয়োটি পোস্ট করে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন দীনেশ গুন্ডু রাও। তিনি লেখেন, ‘‘চিত্রদুর্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হেলিকপ্টার থেকে রহস্যজনক বাক্স নামানো হল। নিমেষের মধ্যে সেটি নিয়ে উধাও হয়ে গেল একটি বেসরকারি ইনোভায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত নির্বাচন কমিশনের। বাক্সে কী রাখা ছিল, গাড়িটাই বা কার, সব কিছু তদন্ত করে দেখা হোক। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেসের কর্নাটক শাখা।’’
রবিবার গোটা বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে সরব হতে দেখা যায় কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মাকে। তিনি বলেন, “চিত্রদুর্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে আরও তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। সেখানে নামার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার থেকে একটি কালো ট্রাঙ্ক বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। বেসরকারি গাড়িতে তুলে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়েও ফেলা হয় ট্রাঙ্কটি।’’
আরও পড়ুন: টাইগার প্রভাকরণই আদর্শ, রাজীব হত্যার কারিগরের নামেই ভোট চান এঁরা
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে ইতিমধ্যেই কয়েকশো কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই ওই ট্রাঙ্কেও টাকা থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy