ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস যে নিজের শক্তি বাড়াতে বদ্ধপরিকর, তার ফের প্রমাণ দিলেন রাহুল গাঁধী।শুক্রবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের ৯টি লোকসভা আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। রাজ্য সভাপতি রাজ বব্বরকে মোরাদাবাদের বদলে ফতেপুর সিক্রিতে প্রার্থী করা হয়েছে। মোরাদাবাদে লড়াই সহজ হবে না বুঝে রাজ বব্বর নিজেই আসন বদলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, বিজনৌর আসনে মায়াবতীর একদা ঘনিষ্ঠ নসীমুদ্দিন সিদ্দিকিকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। সিদ্দিকি বিএসপি-র মুসলিম মুখ বলে পরিচিত ছিলেন। গত বছর তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। বিজনৌরে গুজ্জর নেতা মালুক নগরকে প্রার্থী করে গুজ্জর-জাঠ-মুসলিম ভোটের সমীকরণ গড়ে তুলতে চাইছিল বিএসপি।
কংগ্রেসের এই চালকে মায়াবতীর সহারনপুরের চালের পাল্টা হিসেবে তুলে ধরছেন দলের নেতারা। কারণ, মায়াবতী সহারনপুরে সংখ্যালঘু নেতা হাজি ফজলুর রহমানকে প্রার্থী করেছেন। সহারনপুরে কংগ্রেসের প্রার্থীও সংখ্যালঘু নেতা ইমরান মাসুদ। যিনি ২০১৪-র মোদী ঝড়েও বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। মায়াবতী পাল্টা সংখ্যালঘু প্রার্থী দিলেও ইমরানের দাবি, তাঁর সঙ্গে ভীম আর্মির চন্দ্রশেখর আজাদের সমর্থন রয়েছে।
কিন্তু দুই শিবিরের এই ভোট কাটাকাটিতে বিজেপির সুবিধা হয়ে যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগামিকাল সহারনপুরে শাকুম্ভরী দেবীর মন্দিরে পুজো
দিয়ে নিজের রাজ্যে ভোটের প্রচার শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বিজেপি নেতাদের আশা, কংগ্রেস ও এসপি-বিএসপি শিবিরের ভোট কাটাকাটিতে তাঁদের ফায়দা হবে। কৈরানা আসনে গত উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। এসপি-বিএসপির সমর্থনে আরএলডি জিতেছিল। এ বার আরএলডি সাংসদ এসপি-র টিকিটে লড়ছেন। কিন্তু কংগ্রেস কৈরানায় দলের প্রবীণ জাঠ নেতা হরেন্দ্র মালিককে
প্রার্থী করেছে। ফলে সেখানে ফেলায় জাঠ ভোট কাটাকুটির আশঙ্কা
তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy