বুনিয়াদপুরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: অমিত মোহান্ত
ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার কথা বলার সময় থেকেই তাঁর তত্ত্ব ছিল, যেখানে যে দল শক্তিশালী, সেখানে সেই দলকে ভোট দিন। মঙ্গলবার দুই দিনাজপুরের দুই সভা থেকে সে কথাই আর এক বার মনে করিয়ে দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ‘‘কংগ্রেস একক শক্তিতে এ বারে ক্ষমতায় আসবে না। তাই এই রাজ্যে কংগ্রেসকে দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।’’ পরিবর্তে তৃণমূলকে ৪২টি আসনেই জেতানোর দাবি তুলে তিনি বলেন, ‘‘এ বারে উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলা মিলে সরকার গড়বে।’’ এরই পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘কেরলে সব আসনই কংগ্রেস এবং সিপিএম নিয়ে যাবে।’’
পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ মিলে মোট ১২২টি লোকসভা আসন রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে এসপি এবং বিএসপি একজোট হয়ে লড়ছে। তৃণমূলের অন্দরের হিসেব, বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী-অখিলেশ জোট ভাল ফল করতে পারে। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গে অন্যদের থেকে তারা কয়েক কদম এগিয়ে বলে মনে করছে তৃণমূল। যেখানে যে শক্তিশালী, সেখানে তার একক ভাবে লড়াইয়ের তত্ত্ব মাথায় রেখেই যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল একা লড়ছে, সেটা এ দিন তাঁর কথায় আবার স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তাঁরা যে একই সঙ্গে অন্য বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোটবদ্ধও, সেটাও তিনি বুঝিয়ে দেন।
পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশ মিলে সরকার গড়বে— এই কথা বলার সঙ্গেই মমতা জানিয়ে দেন, কর্নাটকে দেবগৌড়ার দল, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল এবং কেরলে সিপিএম ও কংগ্রেস ভাল ফল করবে। এবং এই সব রাজ্যেই বিজেপির ফল খারাপ হবে। কিন্তু এত কিছুর পরেও কংগ্রেস একার ক্ষমতায় সরকার গড়তে পারবে না। বরং মমতা বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেস একক ভাবে গরিষ্ঠতা না পেলে তাঁরাই হবেন চালিকা শক্তি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মমতা এ দিন বলেন, ‘‘দেশ বাঁচাতে একমাত্র রাস্তা তৃণমূল।’’ স্লোগান তোলেন, ‘‘ভারত সরকার গড়বে কে, তৃণমূল কংগ্রেস আবার কে!’’ এর পরে তিনি বলেন, ‘‘সব সম্প্রদায়ের সব মানুষ একজোট হয়ে তৃণমূলকে ভোট দিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy