Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘সব সুবিধা নিয়েছেন, সহযোগিতা করেননি’

এনডিএ ছাড়ার পরেও নবীন কখনওই সে ভাবে বিজেপি-বিরোধী দল বা জোটের ধাঁর ঘেষেননি।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীনকে আজ কাঠগড়ায় তুললেন মোদী। ছবি: পিটিআই।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীনকে আজ কাঠগড়ায় তুললেন মোদী। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
ভবানীপটনা (ওড়িশা) শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫৬
Share: Save:

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সব সুফল নিয়েছেন কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি— নবীন পট্টনায়ককে আজ এ ভাবেই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খনি মাফিয়াদের এবং ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার কারবারিদের ‘রক্ষক ও পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবেও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীনকে আজ কাঠগড়ায় তুললেন মোদী।

এনডিএ ছাড়ার পরেও নবীন কখনওই সে ভাবে বিজেপি-বিরোধী দল বা জোটের ধাঁর ঘেষেননি। তাঁরই সঙ্গে বিজেপিকে টক্কর নিতে হচ্ছে এ বারের ভোটে। কারণ, ক্ষমতায় ফেরা নিশ্চিত করতে মোদী, অমিত শাহেরা এ বার বাংলা ও ওড়িশায় আসন বাড়াতে মরিয়া। সেই লক্ষ্যে আজ কালাহান্ডী জেলার ভবানীপটনার সভায় মোদী বললেন, ‘‘এই রাজ্যের চৌকিদার ওড়িশার কল্যাণ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সব সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। ২০১৪-তে এ রাজ্যে বিজেপির সরকার এলে অনেক দ্রুত গতিতে উন্নয়ন হত।’’

ওড়িশাবাসীর প্রতি তাঁর আবেদন, ২০১৭-তে ওড়িশা, ২০১৮-তে ত্রিপুরা যেমনটি করেছে, সেই পথে হেঁটে ওড়িশাও ‘ডাবল ইঞ্জিন’-এর অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য দু’জায়গাতেই বিজেপি সরকারের সুবিধা নিক। এই প্রসঙ্গে বিজেডিকে গরিব বিরোধী বলেও আখ্যা দেন মোদী। ‘পাঁচ বছরে এক দিনও ছুটি না-নিয়ে’ তিনি গরিব ও দলিতের কল্যাণে কী কী করেছেন তার সবিস্তার খতিয়ান তুলে ধরেন। কেন্দ্র ১ টাকা দিলে, মানুষের কাছে ১৫ পয়সা পৌঁছোয় বলে খেদ জানিয়ছিলেন রাজীব গাঁধী। সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদীর কটাক্ষ, ‘‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রোগটা ধরলেন কিন্তু কোনও ওষুধ দিলেন না। এটা প্রতারণা। সরকারের দেওয়া পুরো টাকা যাতে মানুষের হাতে পৌঁছোয়, এনডিএ সরকার তা নিশ্চিত করেছে পাঁচ বছরে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE