সোশ্যাল মিডিয়ায় সুরের লড়াইয়ে রাজনীতি।
সত্যিই গলি থেকে রাজপথ, থুড়ি রাজনীতির পথে যাত্রা! সেই যাত্রা সুরের।
‘গালি বয়’ ছবির যে সুরে মেতেছিল দেশ, সেই সুর ভাসছে ভোটের হাওয়ায়। ‘গালি বয়ে’র ‘আপনা টাইম আয়েগা’ গানের সুরে যেমন শোনা যাচ্ছে ‘আপনা মোদী আয়েগা’, তেমনই ছবির প্যারডি ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে রাহুল গাঁধী বলছেন, তাঁর সময়ই আসছে।
সময় কার আসবে, তা বলবে সময়ই। তবে ‘উরি’-র পরে হালফিলের সময়টা যে ‘গালি বয়’-এর, তা মালুম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকিঝুঁকি দিলেই। ‘উরি’র সাফল্যের পরে ‘হাউ ইজ় দ্য জোশ’ হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করতে চেয়েছিল বিজেপি। বেকারত্বের অভিযোগ ঘিরে বিরোধীদের পাল্টা জবাব ছিল ‘হাউ ইজ় দ্য জব!’ ‘গালি বয়’এর মুক্তি ঘিরে র্যাপের হাওয়ায় প্রচার করতে নামে সব পক্ষই।
‘গালি বয়’ মুক্তির আগের দিনই বিজেপি র্যাপের সুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘বান্দা অপনা সহি হ্যায়’ নামে ওই গানে নানা কাজের ফিরিস্তি দিয়ে দাবি করা হয়, মোদীই দেশের জন্য উপযুক্ত লোক। শুধু বিজেপির অফিশিয়াল পেজই নয়, সমর্থকদের পেজ থেকেও ‘আপনা টাইম আয়েগা’র প্যারডিতে গান তৈরি করা হয়েছে, ‘আপনা মোদী আয়েগা’।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
একই সুরে ভিডিয়ো তৈরি হয়েছে রাহুলের পক্ষেও। ‘গালি বয়’ ছবির ট্রেলারে রণবীর সিংহের মুখে রাহুল গাঁধীর মুখ, আলিয়া ভট্টের মুখে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর মুখ বসিয়ে তৈরি হয়েছে পাল্টা ভিডিয়ো, যেখানে র্যাপ লড়াইয়ে মোদীকে টক্কর দিতে দিতে রাহুল বলছেন, তাঁর দিন আসছে। ভিডিয়োয় নানা চরিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে সুষমা স্বরাজ, অখিলেশ যাদব, মায়াবতীর মতো নেতানেত্রীকে। ভিডিয়োয় এসেছে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’-এর মতো স্লোগান, রাফাল-কাণ্ডের মতো বিরোধী-রাজনীতির অস্ত্রের কথাও। কেবল ভিডিয়োই নয়, মোদী বিরোধীরা তৈরি করেছেন মিম-ও। যাতে মোদীর ছবির তলায় লেখা ‘আপনা টাইম যায়েগা।’
সময়ের এই ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ নায়ক আপাতত র্যাপ-রাজনীতি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy