কীর্তি আজাদকে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
লোকসভা নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনও। তার আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কীর্তি আজাদ। সোমবার সকালে ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে এসে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়াওই নেতা। এ দিন দলে তাঁকে স্বাগত জানান রাহুল গাঁধী। পরে নিজেই টুইটারে সে কথা ঘোষণা করেন কীর্তি।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর রাহুল গাঁধীর সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে টুইটারে কীর্তি আজাদ লেখেন, ‘‘আজ সকালে রাহুল গাঁধীর উপস্থিতিতে আমি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। মিথিলার ঐতিহ্য মেনে গলায় মালা পরিয়ে, চাদর দিয়ে ওঁকে সম্মান জানাই আমি।’’
এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কীর্তি আজাদের। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে মৃত্যু হয় ৪৪ জন জওয়ানের। নিহত জওয়ানদের সম্মানে তিনদিন শোকপালনের সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়। তার জেরে পিছিয়ে যায় কীর্তি আজাদের সদস্যপদ গ্রহণও।
आज सुबह कांग्रेस के राष्ट्रीय अध्यक्ष श्री @RahulGandhi जी ने मुझे कांग्रेस की सदस्यता ग्रहण कराई मैंने मिथिला की परंपरा में उनको मखाना की माला, पाग, चादर से सम्मानित किया।
— Kirti Azad (@KirtiAzaad) February 18, 2019
Today in front of Shri Rahul Gandhi I joined the Congress I felicitated him in traditional Mithila style pic.twitter.com/B9DQwCM207
কীর্তি আজাদের টুইট।
আরও পড়ুন: সেনার গুলিতে হত পুলওয়ামা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড? সংঘর্ষে হত সেনা মেজর, তিন জওয়ান
আরও পড়ুন: সার্জিকাল স্ট্রাইক নয়, আকাশ থেকে সোজা মাসুদের ডেরাতেই আঘাত হানতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভাগবত ঝা আজাদের ছেলে কীর্তি আজাদ। তবে শুরুতে রাজনীতিতে আগ্রহ ছিল না তাঁর। বরং পেশা হিসাবে বেছে নেন ক্রিকেটকে। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অংশও ছিলেন তিনি। পরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তবে বাবার মতো কংগ্রেসের হয়ে নয়, বরং বিজেপির হয়ে প্রথমে দিল্লির গোল মার্কেটের বিধায়ক নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালে বিজেপির হয়েই বিহারের দ্বারভাঙ্গা থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হন তিনি।
কিন্তু শুরু থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয় তাঁর। ২০১৫ সালে অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেওয়ার আগে, দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ছিলেন অরুণ জেটলি। সেইসময় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন কীর্তি। যার পর দল বিরোধী কাজের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। সেই থেকেই তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল।
(ভোটের খবর, জোটের খবর, নোটের খবর, লুটের খবর- দেশে যা ঘটছে তার সেরা বাছাই পেতে নজর রাখুন আমাদের দেশ বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy