মায়াবতী-অখিলেশ জোট ঘোষণার পরে প্রার্থী বাছাই করতে যেমন হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেই সঙ্গে কার ভাগ থেকে অন্য কয়েকটি দলকে আসন ছাড়া হবে— তা নিয়েও মন কষাকষি রয়ে গিয়েছে।
জোট ঘোষণার পরের দিনই এসপি শিবির থেকে বলা হয়েছিল জানুয়ারির মধ্যে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তার পরই জোর কদমে শুরু হবে প্রচার।
জোটের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা যে খুব দ্রুত এবং সহজ হবে, তা একেবারেই মনে করছে না দুই শিবির। নিজেরা ৩৮টি করে আসন নিয়ে দু’টি কংগ্রেসের জন্য এবং দু’টি অন্য ছোট দলের জন্য ছেড়ে রেখেছেন ‘বুয়া-বাবুয়া’। অথচ মাত্র দু’টি আসনে লড়তে নারাজ অজিত সিংহের দল আরএলডি।
কৈরানা উপনির্বাচনে ভাল করার পর অন্তত ৫টি আসনে লড়ার স্বপ্ন দেখছেন অজিত। এসপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর এক দফা বৈঠকও হয়ে গিয়েছে দু’দিন আগে। এসপি-র এক নেতার কথায়, ‘‘আরও দু’একটি আসন অজিত সিংহকে ছাড়তেই হবে। গোটা রাজ্যের জাঠ ভোট ব্যাঙ্ককে সঙ্গে রাখতে আরএলডি-কে পাশে পাওয়াটা জরুরি।’’
সূত্রের খবর, কংগ্রেসও ছোট দলগুলিকে সঙ্গে নিতে চাইছে। আরএলডি-র সঙ্গেও উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতারা যোগাযোগ করেছেন। এসপি-র সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে যেতে চান না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। মূলত বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্য নিয়েই নামছে কংগ্রেস। কিন্তু সব আসনে হাল ছেড়ে দিলে সে রাজ্যের নেতা-কর্মীদের মনোবলে ঘা লাগবে— এই বিষয়টিকেও বিবেচনায় রাখছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ তার প্রভাব উত্তর ভারতে অন্যান্য রাজ্যেও পড়তে পারে।
লালুপ্রসাদের দল আরজেডি-কেও একটি আসন ছাড়ার কথা ভাবছে জোট। মায়াবতীর জন্মদিনে লখনউয়ে এসে বিএসপি এবং এসপি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে জোটকে সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন লালুর পুত্র তেজস্বী যাদব। তখনই এ নিয়ে কথা হয়েছে। আপাতত স্থির হয়েছে ফতেপুর আসনটি আরজেডি-কে দেওয়া হবে।
তবে বাইরের দলগুলিকে এত বাড়তি আসন কার কোটা থেকে দেওয়া হবে, গোল বেঁধেছে তা নিয়েই। সূত্রের খবর, মায়াবতী নিজের ভাগের একটি আসনও ছাড়তে রাজি নন। কারণ ৩৮টি আসনে লড়ার শর্তেই তিনি জোটে রাজি হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোটকে সফল করার চেয়েও তাঁর লক্ষ্য যতগুলি সম্ভব বেশি আসন ধরে রাখা। তার প্রধান কারণ, প্রধানমন্ত্রিত্বই পাখির চোখ দলিত নেত্রীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy