Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus Lockdown

সপ্তম পর্বের আনলকে নয়া করোনা নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বুধবার বলেছে, ‘কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়ার কারণেই এই নয়া গাইডলাইন’।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৩৭
Share: Save:

আনলক-৭ পর্বের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবার জারি করা ওই গাইডলাইনে নজরদারি, কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা এবং সাবধানতা সংক্রান্ত কিছু বিধিনিষেধ বলবতের কথা বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন। তার পরই এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হবে। বহাল থাকবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল আনলক-৬। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নতুন কোনও নির্দেশিকা জারি না করে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আনলক-৫-এর বিধিগুলিই বহাল রাখার কথা জানিয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বুধবার বলেছে, ‘কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সংক্রমণের হার বাড়ার কারণেই এই নয়া গাইডলাইন’।

আনলক-৭ পর্বেও রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কঠোর ভাবে কন্টেনমেন্ট সংক্রান্ত বিধি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কোভিড-১৯ সতর্কতা মেনে সামাজিক ক্রিয়াকলাপ এবং জমায়েত নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আগে জারি করা আদর্শ কার্যবিধি (এসপিও)-র কোনও বদল হচ্ছে না।

নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় কার্যকলাপ চলবে। অন্য কোনও কার্যকলাপের জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থা (পুরসভা, পঞ্চায়েত)-র অনুমতি বাধ্যতামূলক। বাইরের লোকের যাতায়াতও নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম হলে তার ‘ব্যাখ্যা’ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে।

আরও পড়ুন: বিহারে স্পিকার পদ দখলে নিয়ে ‘চক্রব্যূহ’ দৃঢ় করল বিজেপি

আনলক-৪ পর্বের নির্দেশিকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যগুলির হাত থেকে লকডাউন ঘোষণার একতরফা ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ বার রাজ্যগুলিকে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি-সহ বেশ কিছু ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক। তবে লকডাউন ঘোষণার ক্ষেত্রে আগের মতোই কেন্দ্রের সঙ্গে বাধ্যতামূলক আলোচনার শর্ত অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: নিরাপত্তার অছিলায় অ্যাপ নিষিদ্ধ করছে ভারত, অভিযোগ চিনের

মঙ্গলবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘গতিশীল (ডায়নামিক) কন্টেনমেন্ট জোন’ চিহ্নিতকরণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘জেলা প্রশাসনকে তৃণমূল স্তরে (মাইক্রো লেভেল) নিবিড় নজরদারির মাধ্যমে কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করতে হবে’।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা, কোভিড রোগী এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচ্ছিন্ন করা, চিকিৎসার পরিকাঠামো নির্মাণ এবং প্রয়োজনে বাড়িতে চিকিৎসার কথাও বলেছে কেন্দ্র। শহুরে এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিতে জোর দেওয়ার ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE