ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে আগামী বছর বিধানসভা ভোট। তার আগে এক ধাক্কায় রাজধানী এলাকার এক-চতুর্থাংশের বেশি মানুষের মন জয়ে আজ বড় পদক্ষেপ করল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। রাজধানী এলাকার ১৭৯৭টি অবৈধ কলোনির বাসিন্দাদের জমির মালিকানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর জন্য স্ট্যাম্প ডিউটিও নেওয়া হবে নামমাত্র। এতে ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।
এ ছাড়াও দিল্লিতে কিছু দিন আগে সন্ত রবিদাসের যে মন্দিরটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সেটি ফের গড়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে এ দিনই। রবিদাসের দলিত ভক্তরা এতে খুশি। খুশি কলোনিগুলির মানুষও। তবে তাঁদের একটাই বক্তব্য, এ যেন ভোটের প্রতিশ্রুতি হয়ে থেকে না-যায়।
কাজটা যেন তাড়াতাড়ি হয়। ১৭৫ বর্গ-কিলোমিটার জুড়ে এই সব কলোনিতে মূলত পূর্বাঞ্চলীয়, আশপাশের রাজ্যের মানুষ ও দলিতদের বাস। দীর্ঘদিন সেখানে থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক পরিষেবাই তাঁরা পান না। অবৈধ বসবাসকারীদের এলাকায় এটিএম খুলতেও বাধা। এ বার তাঁরা সেই সব সুবিধা পেতে পারবেন। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনই এ বিষয়ে বিল পাস করানো হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের আবাসন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ পুরী। রাজধানী এলাকায় যে ৬৯টি অবৈধ কলোনিতে স্বচ্ছলদের বাস, সেগুলির ক্ষেত্রে মালিকানা হস্তান্তর হচ্ছে না।
কেন্দ্রে ও অনেক রাজ্যে সরকার চালালেও, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় বিজেপির শক্তি মাত্র ৩। বাকি ৬৭ জন আপের। ২০২০-র পরেও নাকের ডগায় কেজরী-শাসন কোনও মতেই চাইছে না বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অবশ্য দাবি করেছেন, এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।
অবৈধ কলোনিগুলির বাসিন্দাদের মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগটা শুরু করেছিল আপ সরকার। গত বছর জমির মাপজোকও শুরু করে। কিন্তু তারা ২০২১ পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল আজ বেশ কয়েকটি টুইটে জানিয়েছেন, ২০১৫-তে আপ সরকার কলোনিগুলিকে বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় কেন্দ্রকে। সেটাই আজ তারা পাশ করেছে। কেন্দ্রকে আজ অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রের সম্মতির অপেক্ষায় না থেকে তাঁর সরকার যে কলোনিগুলির জন্য আগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছে, তা-ও তুলে ধরেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, আগে এই সব কলোনিকে উন্নয়ন থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আপ আসার পরে ৫ বছরে ৬০০০ কোটি টাকা খরচ করে এগুলিকে বাসযোগ্য করে তোলা হয়েছে। দিনের শেষ টুইটে সরাসরি রাজনৈতিক বার্তাটি দিয়েছেন কেজরীবাল, ‘‘যে সরকার বিদ্যুৎ, জল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা জোগায়, বিনা খরচে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে, সেই সরকারকে চলে যেতে দেবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy