Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভুল হচ্ছে সাংসদদেরও, নামে বদল চিট ফান্ডের

লোকসভায় আজ চিট ফান্ড সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিতর্কে অধিকাংশ সাংসদই একে বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা বা পঞ্জি স্কিমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:০১
Share: Save:

সারদা, রোজ ভ্যালির মতো বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা লোকমুখে ‘চিট ফান্ড’ বলেই পরিচিত। কিন্তু আদতে তারা চিট ফান্ড নয়। আমজনতার মতো লোকসভায় সাংসদরাও একে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। চিট ফান্ড সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদেরা সারদা, রোজ ভ্যালির প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল নেতৃত্বকে নিশানা করেছিলেন। আজ সেই বিল পাশের সময় জবাবি বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ সিংহ ঠাকুর বললেন, ‘‘বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা ও চিট ফান্ডকে অনেকেই এক করে ফেলেছেন। চিট ফান্ড আসলে গরিবদের কল্যাণেই তৈরি হয়। কিন্তু বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা চিট ফান্ড বলে পরিচিত হওয়ায় আসল চিট ফান্ডের বদনাম হয়েছে।’’

লোকসভায় আজ চিট ফান্ড সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিতর্কে অধিকাংশ সাংসদই একে বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা বা পঞ্জি স্কিমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন। সোমবার এই বিল নিয়ে বিতর্কে বিজেপির বাংলার দুই সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। আজ বিতর্কে অংশ নিলেও বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার সে পথে হাঁটেননি। তাঁকে সাধুবাদ জানিয়ে তৃণমূলের সৌগত রায় বলেন, ‘‘বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থার বাড়বাড়ন্তর জন্য দায়ী ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার ব্যর্থতা। লোকে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে টাকা তুলে নেয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবি-র মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থারও ব্যর্থতা রয়েছে। কিন্তু দিলীপ, লকেট মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছেন। তার নিন্দা করছি। ওঁরা চিট ফান্ডের অর্থই বোঝেননি। সিবিআই তদন্ত করছে। চার্জশিট পেশ করুক। দোষীদের শাস্তি দিন। কেন্দ্র তার দায়িত্ব পালন করুক। ঝগড়া করে লাভ নেই।’’

অনুরাগও পশ্চিমবঙ্গের সারদা, রোজ ভ্যালি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণের পথে হাঁটেননি। বিজেপি সাংসদেরা তাঁকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলেও অনুরাগ বলেন, আমি কোনও রাজ্যের বিষয়ে যাব না। সৌগতর যুক্তি, আসলে চিট ফান্ড শব্দটাই ভুল পথে চালিত করে। চিট-এর অর্থ এখানে কাগজের টুকরো। কারণ, কাগজের টুকরো করে লটারি করে ঠিক হত, তহবিলের টাকা কে পাবে। চিট এখানে প্রতারণা নয়। অনুরাগ জানান, চিট ফান্ড-কে আরও সম্মানজনক করতে ‘ফ্র্যাটারনিটি ফান্ড’, ‘রোটেটিং সেভিংস’ বা ‘ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে আইনে। তহবিলের অঙ্ক ১ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ৩ লক্ষ করা হচ্ছে। যিনি তহবিল পরিচালনা করবেন, সেই ফোরম্যানের কমিশন ৫ থেকে বেড়ে ৭ শতাংশ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রাস্তায় ফেলে পুলিশের বেধড়ক মার কংগ্রেস নেতাকে, উত্তাল হল কেরল বিধানসভা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chit Fund TMC Lok Sabha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE