Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Cow Milk

দুধে সোনা, খুনে ভূমিকম্প! অনলাইনে সরকারি গো-পরীক্ষা

পাঠ্যসূচি জানাচ্ছে, ১৯৮৪ সালে ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনার সময় যাঁদের মাটির ঘরের দেওয়ালে গোবর লেপা ছিল, তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৩৪
Share: Save:

অনলাইনে গরু বিষয়ক সরকারি পরীক্ষার আসর। দেশে এই প্রথমবার। পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ‘রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ’। দেশের পশুকল্যাণের জন্য ২০১৯-’২০ সালের বাজেটে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আর্থিক বরাদ্দের বন্দোবস্ত করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির সেই পরীক্ষার সম্ভাব্য কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। আর তা ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে নতুন করে।

কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ, পশুপালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা হিসেবে কাজ করে কামধেনু আয়োগ। তাদের আয়োজিত পরীক্ষার, পোশাকি নাম, ‘কামধেনু গো বিজ্ঞান প্রচার-প্রসার পরীক্ষা’। ঘোষিত লক্ষ্য, জাতীয় গো-কল্যাণ কর্মসূচিকে শক্তিশালী করা। আয়োজক সংস্থার তরফে ওই ‘মাল্টিপল চয়েস’ জাতীয় পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি পাঠ্যসূচিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘১৯৮৪ সালে ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু যাঁদের মাটির ঘরের দেওয়ালে গোবর লেপা ছিল, তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি’।

২০০৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, গ্যাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩,৭৮৭ বলে জানিয়েছিলেন। আর গোবরের ‘রক্ষাকবচের’ কথা সরকারি স্তরে বা গ্যাস-দুর্গত পরিবারগুলির তরফে গত সাড়ে তিন দশকে শোনা যায়নি।

গো-হত্যার সঙ্গে ভূমিকম্পের সম্পর্ক নিয়েও অভিনব ‘বৈজ্ঞানীক তত্ত্ব’ হাজির করেছে কামধেনু আয়োগ। সেখানে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কিংবদন্তী বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের নামও। তাদের ব্যাখ্যা, কোনও এক জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে গবাদি পশু জবাই করা হলে তাদের মরণ-আর্তনাদের ‘প্রভাব’ পড়ে ভূস্তরের উপর। ‘আইনস্টাইনিয়ান পেন ওয়েভ’-এর দীর্ঘস্থায়ী ফল হিসেবেই ভূমিকম্প হয় বলে জানানো হয়েছে পাঠ্যসূচিতে।

আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট ভোটে বাইডেনের জয় অনুমোদন কংগ্রেসের, মানলেন ট্রাম্পও

বছর খানেক আগে দেশি গরুর দুধে সোনার ‘হদিস’ দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর রাজ্য বিজেপি-র এক নেতা পোল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্র পেশ করে গো-দুগ্ধে সোনার উপস্থিতি দাবি করেন। ওই গবেষণাপত্রে গরুর দুধে অন্য নানা খনিজের সঙ্গে সামান্য সোনার উপস্থিতির কথা বলা হয়েছিল। তবে তা দেশি গরু নয়। কামধেনু আয়োগের পাঠ্যসূচি অবশ্য জানাচ্ছে, কেবলমাত্র দেশি গরুর দুধেই রয়েছে সোনা।

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের তথ্যও পাবে ফেসবুক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE