Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

সুপ্রিম কোর্টে ফের আর্জি নির্ভয়া-আসামির

নির্ভয়া মামলায় মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিংহ ও পবন গুপ্তের কিউরেটিভ পিটিশন চলতি মাসে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা 
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৩৯
Share: Save:

রাষ্ট্রপতি যে পদ্ধতিতে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করেছেন তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল নির্ভয়া কাণ্ডের আসামি মুকেশকুমার সিংহ। সেই সঙ্গে ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি দেওয়ার পরোয়ানাও খারিজের আর্জি জানিয়েছে সে।

নির্ভয়া মামলায় মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিংহ ও পবন গুপ্তের কিউরেটিভ পিটিশন চলতি মাসে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়ার পরোয়ানা জারি করে দায়রা আদালত। কিন্তু মুকেশ সিংহ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী নতুন ভাবে ফাঁসির দিন স্থির করতে উদ্যোগী হয় দিল্লি সরকার। সেই সঙ্গে তারা আদালতে জানায়, আইনি প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতেই এই আবেদন। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করার পরে ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি দেওয়ার পরোয়ানা জারি হয়। তার পরে আজ যে ভাবে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়েছে, তা নিয়ে আবেদন পেশ করেছেন মুকেশের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। তিনি বলেন, ‘‘শত্রুঘ্ন চৌহান মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে যে পদ্ধতিতে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়েছে তার বিরুদ্ধে আর্জি জানানো হয়েছে।’’

অন্য দিকে নির্ভয়া আসামিদের নথিপত্র তাঁদের আইনজীবীদের দেওয়ার জন্য সরকার পক্ষকে কোনও নতুন নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে এ দিন রায় দিয়েছে দিল্লির দায়রা আদালত। এই বিষয়ে বিনয় শর্মার কৌঁসুলি এ পি সিংহের পেশ করা আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অজয়কুমার জৈন। এ দিন এ পি সিংহ আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁর মক্কেলকে জেলে ধীরে ধীরে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করা হচ্ছে। গত কাল রাতে বিনয় সম্পর্কে কিছু নথি তাঁকে দিয়েছেন তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিনয়ের ডায়েরি ও মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাননি তিনি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দিল্লির মান্ডোলি জেলে থাকার সময়ে আর এক আসামি পবন গুপ্তের মাথার খুলি ফাঁক হয়ে গিয়েছিল। পবনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পবনের আইনজীবীকে তা নিয়ে নথি দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: ঘৃণার রাজনীতি রুখলেই শহুরে নকশাল: রাহুল

সরকারি আইনজীবী জানান, সব নথিই আসামিদের আইনজীবীদের দেওয়া হয়েছে। আজ আদালতে জেলে বসে বিনয় শর্মার আঁকা ১০টি ছবি ও তার লেখা ‘দরিন্দা’ (পিশাচ) শীর্ষক একটি নোটবুকও নিয়ে আসেন জেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি। তাঁরা জানান, এ সবও আসামির আইনজীবীকে দিতে তাঁরা রাজি। আদালত জানিয়ে দেয়, সব নথি আসামি পক্ষের কৌঁসুলিদের দেওয়ার অনুরোধ রেখেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে কোনও নতুন নির্দেশের প্রয়োজন নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nirbhaya Nirbhaya Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE