বয়স সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম দণ্ডিত পবন গুপ্ত। তাকে আরও একবার ফেরাল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও তাতে শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি তার ফাঁসি সুনিশ্চিত হচ্ছে না। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আর্জির পথ খোলা থাকছে।
হাতে রয়েছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তিহাড় জেলে হয়ে গিয়েছে মহড়াও। তবু নাছো়ড় চেষ্টা করে চলেছে নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম দণ্ডিত পবন গুপ্ত। অপরাধের সময় সে নাবালক ছিল, এই আর্জি নিয়ে ২০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পবন। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় শীর্ষ আদালত। বয়স সংক্রান্ত দাবি একবার নাকচ হলে, পুনরায় দাবি জানানো যায় না—এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী নির্দেশও রয়েছে। ইতিপূর্বে নিম্ন আদালত, দিল্লি হাইকোর্ট ফিরিয়েছে তাকে।
এই পরিস্থিতিতে ফের রায় খতিয়ে দেখার দাবি নিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে যায় পবন। সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি খারিজই করল। আইনজ্ঞ মহলের ধারনা, ফাঁসির প্রক্রিয়া দেরি করতেই আইনের সমস্ত সংস্থান খুঁজছে এই অপরাধী। ফাঁসি পিছনোর জন্যে এখনও পথ খোলা আছে পবনের কাছে।
একজন সাজাপ্রাপ্ত দোষী যে যে উপায়ে আইনের দ্বারস্থ হতে পারে, তার সর্বোচ্চ উপায়ই হল কিউরেটিভ পিটিশন। পবন কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করতে পারেন। রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানানোর পথও খোলা রয়েছে পবনের কাছে।
আরও পড়ুন:চিনে মৃত বেড়ে ২১৩, করোনাভাইরাস নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল হু
আরও পড়ুন:উহান থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিশেষ বিমান, চিকিৎসক নিয়ে রওনা আজই
শুধু পবনই নয়, আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে চলেছে নির্ভয়া কাণ্ডের চার দণ্ডিতই। তবে মুকেশ সিংহর সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নির্ভয়ার দণ্ডিত অক্ষয়কুমার সিংহের ফাঁসির সাজা সংশোধনের আর্জি বা কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবু খোলা থাকছে রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানানোর পথ। অন্য এক দণ্ডিত, বিনয় শর্মা ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছে।
এই অবস্থায় আগামী কাল ভোর ছ’টায় যে এই চারজন দণ্ডিতের ফাঁসি হবেই তা নিশ্চিত নয়। ফাঁসি পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বরং বেশি, বলেছে আইনজ্ঞ মহল।