এই টিকা নির্মাতা সংস্থা ইতিমধ্যে আইনি পথে হাঁটার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। তাঁর জানিয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবকের অভিযোগ, ‘সন্দেহজনক এবং বিশ্বাসযোগ্য নয়’। প্রতীকী চিত্র
মঙ্গলবার সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়ে দিল, অক্সফোর্ডের টিকা নিরাপদ। কয়েকদিন আগেই চেন্নাইয়ে টিকা নেওয়া এক স্বেচ্ছাসেবক অভিযোগ করেন, টিকার ফলে তাঁর ‘স্নায়ুর রোগ দেখা দিচ্ছে, স্মৃতিভ্রংশ হচ্ছে এবং ব্যবহারে পরিবর্তন আসছে’। সেই অভিযোগ এক কথায় অস্বীকার করল সেরাম ইনস্টিটিউট। একটি বিবৃতি দিয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, তাঁরা এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করবেন। আইনি নোটিস দিয়ে তাঁরা বলেছেন, ‘সংস্থার নিরাপত্তা ও সুখ্যাতিকে নষ্ট করার চক্রান্ত করা হয়েছে’।
এই টিকা নির্মাতা সংস্থা ইতিমধ্যে আইনি পথে হাঁটার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। তাঁর জানিয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবকের অভিযোগ, ‘সন্দেহজনক এবং বিশ্বাসযোগ্য নয়’। সেই কারণেই সংস্থার পক্ষ থেকে ১০০ কোটি টাকার একটি মানহানির মামলা করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ওই স্বেচ্ছাসেবকের স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কিন্তু উল্টোদিকে এটাও ঠিক, কোভিশিল্ড টিকা একেবারেই নিরাপদ। ওঁর শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে এই টিকা প্রয়োগের কোনও যোগাযোগ নেই’।
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, সংস্থা সমস্ত নিয়ম মেনেই গবেষণা চালিয়েছে। সব পক্ষের উপস্থিতিতে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পরেই দাবি করা হয়েছে, ‘নিরাপদ প্রমাণিত না হলে কখনই টিকা সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে না। সেই কারণেই বর্তমানে টিকা নিয়ে যে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে সংস্থা। সংস্থার খ্যাতি ও মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ করতেই হত’।
আরও পড়ুন: কৃষি আইন বাতিল নয়, কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিতে পারেন রাজনাথ সিংহ
ঘটনার সূত্রপাত চেন্নাইয়ের এক ৪০ বছরের ব্যক্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। তিনি ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে দাবি করেন, ১ অক্টোবর তাঁকে ট্রায়ালের অংশ হিসাবে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, তার মারাত্মক উল্টো প্রভাব পড়েছে শরীরে। তাঁর দেওয়া আইনি নোটিসে লেখা ছিল, টিকা নেওয়ার ১০ দিন পর থেকে তিনি ‘মাথা ধরা, ব্যবহারে পরিবর্তন, আলো ও শব্দে বিরক্তি’-র মতো সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিলে বোমা বন্দুক নিয়ে হামলার অভিযোগে উত্তাল খেজুরি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy