দিল্লি থেকে মাঝরাতের বাসে চেপে চণ্ডীগড় যাচ্ছিলেন তরুণ। গন্তব্যে পৌঁছোতে অনেকটাই দেরি থাকায় যাত্রীরা অনেকেই ঘুমোনোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তরুণের চোখ ঘুমে জড়িয়ে এলেও ঘুমোতে পারছিলেন না তিনি। তাঁর পিছনের আসনে এক তরুণী বসেছিলেন। ঘড়ির কাঁটা ২টোর ঘর পেরিয়ে গেলেও তরুণী আর তাঁর ফোন বন্ধ করছিলেন না। একের পর এক রিল দেখে যাচ্ছিলেন তিনি। তা-ও আবার মোবাইলের আওয়াজ জোরে করে। তরুণ তাঁকে হেডফোন ব্যবহার করার অনুরোধ করতে পাল্টা তর্ক শুরু করেন তরুণী সহযাত্রী। তা শুনে তিতিবিরক্ত হয়ে পড়লেন তরুণ। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এই অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন তরুণ (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘আর/দিল্লি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় বাস যাত্রার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন এক তরুণ। দিনকয়েক আগে দিল্লি থেকে মাঝরাতের বাসে চেপে চণ্ডীগড়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। গন্তব্যে পৌঁছোতে দেরি থাকায় ঘুমিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন তরুণ। কিন্তু তাঁর পিছনের আসনে বসেছিলেন এক তরুণী। রাত ২টো বেজে গেলেও রিল দেখা ফুরোচ্ছিল না তাঁর। মোবাইলের স্পিকার অন করেই একের পর এক রিল দেখে চলেছিলেন তিনি। তরুণ আর সহ্য করতে না পেরে তরুণী সহযাত্রীকে হেডফোন ব্যবহার করার অনুরোধ করেন।
তরুণের দাবি, সচরাচর এমন পরিস্থিতিতে পড়লে অপর পক্ষের ব্যক্তি বিষয়টি বুঝে হেডফোন পরে নেন। কিন্তু তরুণীর আচরণ দেখে অবাক হয়ে গেলেন তিনি। তরুণের অনুরোধ শুনে তরুণী যাত্রী জানান যে, তাঁর কাছে হেডফোন নেই। কিন্তু লাউডস্পিকার রয়েছে। সেটি আবার ব্যাগ থেকে বার করে তরুণকে দেখানও তিনি। তরুণ অবাক হয়ে বলে ফেলেন, ‘‘এখন রাত ২টো বাজে।’’
তরুণী পাল্টা তর্ক করতে শুরু করে দেন। তিনি বলেন, ‘‘আপনার কাছে রাত ২টো হতে পারে। আমার কাছে এখনও রাত হয়নি। আমি জোরে জোরে সব কিছু শোনাই পছন্দ করি। আমি এখনই রিল দেখব। শুভ রাত্রি।’’ তরুণীর এমন ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে গেলেন তরুণ। বিষয়টি সমাজমাধ্যমে উল্লেখ করতে এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘আমার তো এটা ভেবেও অবাক লাগছে যে, আপনি যখন প্রতিবাদ করছিলেন তখন কেউ আপনাকে সমর্থন করলেন না। আজকাল মানুষের মধ্যে নীতিবোধের বড়ই অভাব দেখা দিয়েছে।’’