শৈশবে বাবা-মা এবং দুই দিদির সঙ্গে অন্য শহরে চলে গিয়েছিলেন তরুণ। তখন তাঁর বয়স মাত্র চার বছর। বাজারের নিকটবর্তী এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁদের। একদিন বাজার থেকে অপহরণ করা হয় তরুণকে। তার পর ২১ বছর নিজের পরিবারের থেকে আলাদা ছিলেন তিনি। ২১ বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে ছেলের সন্ধান পেল পরিবার। তরুণের দাবি, নিজের পরিবারের খোঁজ পেয়ে ‘পুর্নজন্ম’ হয়েছে তাঁর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণের নাম পেং কংকং। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৬। দক্ষিণ-পূর্ব চিনের জিয়াংসি প্রদেশের বাসিন্দা পেং। তাঁর যখন মাত্র চার বছর বয়স, তখন পরিবার-সহ বেজিংয়ে চলে যান তিনি। পেংয়ের দাবি, বেজিংয়ের এক বাজারের কাছে বাড়ি ছিল তাঁর। সেখানেই বাবা-মা এবং দুই দিদির সঙ্গে থাকতেন তিনি।
আরও পড়ুন:
একদিন বাজার থেকে তাঁকে অপহরণ করে পূর্ব চিনের জিয়াংসু প্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার এক পরিবার দত্তক নেয় পেং-কে। তাঁর নাম বদল করে রাখা হয় জাং কুন। সেখানেই বড় হয়ে উঠতে থাকেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে চাকরিতে যোগ দেন। নিজের উপার্জনে বাড়ি এবং একটি দামি গাড়িও কিনে ফেলেন। হারিয়ে যাওয়ার দুই দশক পর জীবনের বড় সত্যের মুখোমুখি হন তিনি। ২১ বছর ধরে পেং-কে খুঁজছিল তাঁর পরিবার। বিভিন্ন জায়গায় পেংয়ের নিখোঁজ হওয়ার পোস্টার লাগিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। অবশেষে ২২ বছর পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পেংয়ের সন্ধান পান তাঁরা। গত বছর ডিসেম্বরে পুলিশের তরফে নিজের পরিবারের খোঁজ পান পেং।
আরও পড়ুন:
তরুণের দাবি, ২০২৫ সালে তাঁর পুনর্জন্ম হয়েছে। চাকরিবাকরি ছেড়ে বেজিংয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন পেং। বাড়ি-গাড়ি বিক্রি করে গ্রামে চলে যান তিনি। তাঁকে যে পরিবার দত্তক নিয়েছিল, তারাই পেংয়ের বাড়ি কিনে নেন। তবে, বাড়ি মেরামতের সমস্ত খরচ বহন করেন পেং। তরুণের কথায়, ‘‘বহু বহু বছর পর আমার পরিবারের কাছে ফিরেছি। যে সময়গুলো একসঙ্গে কাটাতে পারিনি, এখন সেগুলোই কাটাব। এক মুহূর্তও নষ্ট করব না।’’ নতুন বছরে পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পেং। বর্তমানে নিখোঁজ শিশুদের খুঁজে দেওয়ার একটি সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করেন পেং।