Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সিবিআইয়ের চৌকাঠে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন চিদম্বরম

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পি চিদম্বরম।

হাজিরা চিদম্বরমের। ছবি: পিটিআই।

হাজিরা চিদম্বরমের। ছবি: পিটিআই।

প্রেমাংশু চৌধুরী
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৮ ০৪:৫৩
Share: Save:

সাত বছর আগে মনমোহন সিংহ যখন দিল্লির লোধি রোডে সিবিআইয়ের নতুন সদর দফতরের উদ্বোধন করেন, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পি চিদম্বরম।

আজ সেই চিদম্বরমকেই সিবিআই দফতরের ভিতরে গাড়ি করে ঢুকতে দেওয়া হল না। রাস্তাতেই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ঢুকতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে নিজের গাড়ির উপরেই হুমড়ি খেয়ে পড়লেন তিনি।

আইএনএক্স মিডিয়ার দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন চিদম্বরম। গেটের বাইরে গাড়ি আটকে দেওয়া হলে হেঁটেই সিবিআই দফতরে ঢুকতে হয় তাঁকে। ধাক্কাধাক্কিতে সিবিআইয়ের এক কর্মী চিদম্বরমের উপরে এসে পড়েন। সজোরে নিজের গাড়ির দরজায় ধাক্কা খান চিদম্বরম। তার পরেও অবশ্য মুখে হাসি ঝুলিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: রাহুলকে জড়িয়ে বাঁধ ভাঙল কান্না

চিদম্বরম শুধু প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী নন। বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। অতীতে অনেক সাংসদই সিবিআই দফতরে গাড়ি করে এসেছেন। তা হলে চিদম্বরমকে সেই সৌজন্য দেখানো হল না কেন?

সিবিআই কর্তাদের যুক্তি, চিদম্বরমকে এক জন ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে জেরা করা হয়েছে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪১এ ধারা অনুযায়ী তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল। চার ঘণ্টা জেরার পরে চিদম্বরম টুইটারে জানান, বিদেশি লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদের ফাইলের ভিত্তিতেই প্রশ্নোত্তর হয়েছে। কাজেই ফাইলের বাইরে তাঁর নতুন কিছু বলার ছিল না। একই সঙ্গে চিদম্বরমের যুক্তি, সিবিআই-এর এফআইআর-এ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা আইএনএক্স মিডিয়াকে ৩০৫ কোটি টাকার বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র দেওয়ায় বেনিয়ম হয়েছে— এই অভিযোগের তদন্তে নেমে এর আগে চিদম্বরম-পুত্র কার্তিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। অভিযোগ, বাবা অর্থমন্ত্রী থাকার সুবাদে পিটারদের ব্যবসায় সুবিধা পাইয়ে দিয়ে ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় বয়ান দিয়েছেন, ২০০৬-এ চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা। কার্তিকে ব্যবসায় সাহায্য করার জন্য তাঁদের বলেছিলেন চিদম্বরম। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই চিদম্বরমের জবাব চাওয়া হয়েছে।

তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সিবিআই-ইডির কাজকর্ম থেকে স্পষ্ট, তদন্ত নয়, চিদম্বরমকে হেনস্থা করাটাই আসল উদ্দেশ্য। মঙ্গলবারই দুর্নীতি মামলায় ইডি জেরা করে তাঁকে। ১২ জুন চিদম্বরমকে ফের তলব করা হয়েছে। চিদম্বরমের অধীনেই ইডি কাজ করত। এ বার সেই সংস্থার বিরুদ্ধেই তাঁর অভিযোগ, ইডি কোনও এফআইআর-ই করেনি। জিজ্ঞাসাবাদের অর্ধেক সময়ই বয়ান রেকর্ড করা, তা খতিয়ে দেখে সই করায় নষ্ট হয়েছে। ইডি সূত্রের পাল্টা যুক্তি, ‘এনফোর্সমেন্ট কেস ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট’ দায়ের করেই তদন্ত শুরু হয়েছে। কার্যত সেটাই এফআইআর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE