Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Priyanka Gandhi

৪ ফেব্রুয়ারি মৌনী অমাবস্যায় কুম্ভে পুণ্যস্নান, তার পরেই সরাসরি নির্বাচনী ময়দানে প্রিয়ঙ্কা?

কোনও কারণে পুণ্যস্নান সম্ভব না হলে ১০ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর দিন কুম্ভে ডুব দেবেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। যা একই সঙ্গে তৃতীয় শাহি স্নানের দিন। প্রিয়ঙ্কার কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার দিনের সঙ্গে কুম্ভস্নান জড়িয়ে দেওয়ায় অনেকের মত, বিজেপিকে সামলাতে নরম হিন্দুত্বের রাস্তায় হাঁটছে কংগ্রেস। রাহুলের কৈলাস-মানসরোবর তীর্থযাত্রার সময়ও রাজনৈতিক মহলে উঠেছিল একই প্রশ্ন।

শুরুতেই কঠিন লড়াই। ফাইল চিত্র।

শুরুতেই কঠিন লড়াই। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:১২
Share: Save:

আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি কুম্ভমেলায় গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গমস্থলে ডুব দেওয়ার পর সরকারি ভাবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বভার নিতে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ওই দিনই লখনউতে রাহুলের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনা করার কাজ নিজের হাতে তুলে নেবেন প্রিয়ঙ্কা, এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদ সংস্থা সূত্রে।

দীর্ঘ দিনের জল্পনা উড়িয়ে এই সপ্তাহের শুরুতেই প্রিয়ঙ্কার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল কংগ্রেস। সরকারি ভাবে এই যোগদানের জন্য তাঁরা বেছে নিচ্ছেন ৪ ফেব্রুয়ারিকেই। এই দিন একই সঙ্গে মৌনী অমাবস্যা এবং কুম্ভের দ্বিতীয় শাহি স্নানের দিন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ৪ ফেব্রুয়ারি গঙ্গা এবং যমুনার সঙ্গমে পুণ্যস্নান করবেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা। এটিই হতে চলেছে তাঁদের প্রথম কুম্ভস্নান। এর আগে ২০০১ সালে প্রয়াগে কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নান করেছিলেন তাঁদের মা এবং বর্তমান ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী।

কুম্ভস্নান সেরে লখনউতে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা। এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে সংবাদ সংস্থা সূত্রে। শোনা যাচ্ছে, সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের দায়িত্ব বুঝে নেবেন প্রিয়ঙ্কা। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, যা বিজেপির দুর্গ হিসেবেই পরিচিত, সেখানেই কংগ্রেসের হয়ে সেনাপতির দায়িত্ব সামলাবেন প্রিয়ঙ্কা, খবর এমনটাই। পূর্ব উত্তরপ্রদেশেই ভোটে লড়েন যোগী আদিত্যনাথ, নরেন্দ্র মোদীর মতো বিজেপির হেভিওয়েট প্রতিপক্ষরা। তাই ইনিংসের শুরুটা প্রিয়ঙ্কার জন্য খুব একটা সহজ হবে না, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। জানা যাচ্ছে প্রিয়ঙ্কার হাতে থাকছে পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, অন্য দিকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব যাচ্ছে নতুন প্রজন্মের আরেক কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কাছে।

আরও পড়ুন: পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিলেন নবীন পট্টনায়েকের বোন গীতা মেটা

কুম্ভস্নানের দিন নিয়ে অবশ্য এখনও অনিশ্চয়তা আছে। এই দিন কোনও কারণে পুণ্যস্নান সম্ভব না হলে ১০ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর দিন কুম্ভে ডুব দেবেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। যা একই সঙ্গে তৃতীয় শাহি স্নানের দিন। প্রিয়ঙ্কার কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার দিনের সঙ্গে কুম্ভস্নান জড়িয়ে দেওয়ায় অনেকের মত, বিজেপিকে সামলাতে নরম হিন্দুত্বের রাস্তায় হাঁটছে কংগ্রেস। রাহুলের কৈলাস-মানসরোবর তীর্থযাত্রার সময়ও রাজনৈতিক মহলে উঠেছিল একই প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: প্রথমে চিনকে সমর্থন, এ বার ফাঁকা মাঠে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন মিজোরামে

এর আগে রাহুল জানিয়েছিলেন, নিজের পরিবার এবং সন্তানকে সময় দেওয়ার জন্যই এত দিন সরাসরি রাজনীতিতে আসেননি প্রিয়ঙ্কা। আবার কংগ্রেসের তরফে এটাও বলা হচ্ছিল যে, সরাসরি রাজনীতিতে যোগ না দিলেও রায়বরেলি এবং অমেঠিতে সনিয়া এবং রাহুলের নির্বাচনী কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ পরিচালনা করতেন তিনিই। ৪ ফেব্রুয়ারির পর অবশ্য থাকছে না আর কোনও ধোঁয়াশা।সরাসরি নেমে পড়ছেন লোকসভা নির্বাচনের এমন এক ময়দানে, যা কংগ্রেসের কাছে প্রবল প্রতিপক্ষের হাত থেকে হৃত সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারের লড়াই।

ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE