বিধানসভা বাকযুদ্ধে সিধু। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
পুলওয়ামা কাণ্ডে নাম উঠে এসেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহারের। আর তা নিয়েই এ বার নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করলেন পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিংহ সিধু।
১৯৯৯ সালে কন্দহর বিমান অপরহণ-কাণ্ডের পর তৎকালীন এনডিএ সরকার মুক্তি দিয়েছিল মাসুদ আজহারকে। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। সেই প্রসঙ্গ তুলে সোমবার সিধুর প্রশ্ন, ‘‘কারা মুক্তি দিয়েছিল আজহারকে? আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে।’’ এর পর সিধুর আরও প্রশ্ন, ‘‘আমরা কেন কাশ্মীর নিয়ে স্থায়ী সমাধানের পথে যাচ্ছি না?’’
পাশাপাশি পুলওয়ামা নিয়ে নিজের করা আগের মন্তব্য থেকে তিনি যে সরছেন না, তা-ও এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন সিধু। তিনি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন না সে দাবি করে সিধুর মন্তব্য, ‘‘হামলার পর থেকে যে ভাবে পাকিস্তানের প্রতি বিদ্বেষের আবহ তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে আমি কেবল তার বিরোধিতা করছি।’’
বিজেপিকে শুধু আক্রমণ করা নয়, এ দিন পঞ্জাব বিধানসভায় রীতিমতো বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সিধু। এ দিন বিধানসভায় সেই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ছবি দেখিয়ে সিধুকে আক্রমণ করেন অকালি দলের বিধায়কেরা। বিধানসভায় বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন আকালি বিধায়ক বিক্রম সিংহ মাজিঠিয়া। সিধু এবং মাজিঠিয়া মধ্যের বাকযুদ্ধ রীতিমতো বচসার আকার নেয়।
Congress leader Navjot Singh Sidhu: I want to ask who released those involved in 1999 Kandahar incident? Who's responsibility is it? Our fight is against them. Why should a soldier die? Why can't there be a permanent solution? pic.twitter.com/XTgNvr6sdw
— ANI (@ANI) February 18, 2019
কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া এই জঙ্গি সন্ত্রাসগুলো সম্পর্কে জানেন?
আরও পড়ুন: অস্ত্রভাণ্ডারে পাকিস্তানের চেয়ে কোন কোন জায়গায় এগিয়ে ভারত
সিধু ও মাজিঠিয়ার একে অপরের বিরুদ্ধে কটু শব্দ প্রয়োগ করতে থাকেন। এ দিন ছিল বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। দুই নেতার মধ্যে বিরোধে বাজেট অনুষ্ঠান মুলতুবি হয়ে যায়। সিধুর বিরুদ্ধে অকালি দলের পাশাপাশি সরব হয় বিজেপিও।
আরও পড়ুন: কন্দাহার থেকে করাচি, জঙ্গি করিডরের মাথা, কে এই কামরান?
গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন সিধু। তবে হামলার পর থেকে যে ভাবে পাকিস্তানের প্রতি বিদ্বেষের আবহ তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে, তার বিরোধিতা করেন তিনি। পাকিস্তানের নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘কাপুরুষের মতো হামলা চালানো হয়েছে পুলওয়ামায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি আমি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নাশকতা সবসময়ই নিন্দনীয়। দোষীদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু হাতে গোনা কয়েক জনের অপরাধের দায় একটা গোটা দেশ বা সেখানকার সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া যায় কি?’’ সিধুর সেই মম্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। যার জেরে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ থেকে সরানো হয় নভজ্যোত সিংহ সিধুকে। তার পর ফের এ দিন নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন সিধু।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy