গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিদ্বজ্জনদের গ্রেফতারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল সরকার। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখা যাবে না, গৃহবন্দি রাখতে হবে। এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্র সরকারকে নোটিস দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার কারণ জানাতে হবে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি। ওই দিন পর্যন্ত গৃহবন্দি রাখতে হবে ধৃত বিদ্বজ্জনদের।
ভীমা কোরেগাঁও কাণ্ডে মাও-যোগের অভিযোগে ভারভারা রাও-সহ পাঁচ বিদ্বজ্জনকে গ্রেফতার করে পুণে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিদ্বজ্জনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার-সহ বিশিষ্টজনরা।
সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চে এই বিকেল সাড়ে চারটে থেকে শুনানি শুরু হয়। দুপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ধৃত বিদ্বজ্জনদের কাউকেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া যাবে না। তবে তাঁদের বাড়িতেই নজরদারিতে রাখা যেতে পারে। এই সময়ে তাঁদের সঙ্গে বাইরের কেউ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না, বা তাঁরাও বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকার পক্ষকে লিখিত আকারে গ্রেফতারির কারণ ও পদ্ধতি সম্পর্কে আদালতে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ধৃত বিদ্বজ্জনদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা, প্রশ্নের মুখে পুণে পুলিশ
আরও পড়ুন: গাড়ি সারাতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলির মুখে, উপত্যকায় মৃত চার পুলিশ কর্মী
শুনানি শেষে মামলাকারীদের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘‘বেঞ্চের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ, যাঁরা নিপীড়িত-শোষিত মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন, তাঁদেরই গ্রেফতার করা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ লক্ষণ নয়।’’
সুপ্রিম কোর্টে মামলার পাশাপাশি সারা দেশেই গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হন বহু মানুষ। কলকাতাতেও পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে এপিডিআর, র্যাডিক্যাল সহ একাধিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় জমায়েতের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বিবৃতি ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy