মোদী-বিরোধিতার সুর একেবারে উচ্চগ্রামে নিয়ে গেলেন কংগ্রেস সভাপতি।
লাইট, ক্যামেরা, স্ক্যাম…!
দৃশ্য-এক। ২০০৭— মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আইএল অ্যান্ড এফএস সংস্থাকে ৭০ হাজার কোটি টাকার ‘গিফট সিটি’ দিলেন। আজ পর্যন্ত কাজ হল না। জালিয়াতি সামনে এল।
দৃশ্য-দুই। ২০১৮— প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারতীয় জীবন বিমা নিগম (এলআইসি) এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)-এ আমজনতার সঞ্চিত অর্থের ৯১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ঋণগ্রস্ত আইএল অ্যান্ড এফএস-কে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে।
দু’দিন পরেই আরএসএসের গড় নাগপুরের সেবাগ্রাম থেকে ‘ভারত-ছাড়ো’র আদলে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত নরেন্দ্র মোদী গদি-ছাড়ো’ স্লোগান তুলবেন রাহুল গাঁধী। তার ঠিক আগে রাফালের পাশাপাশি নতুন দুর্নীতির আওয়াজ তুলে মোদী-বিরোধিতার সুর একেবারে উচ্চগ্রামে নিয়ে গেলেন কংগ্রেস সভাপতি। আজ সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে মোদীর নয়া ‘দুর্নীতি’ নিয়ে দু’টি টুইট করে ফেললেন তিনি।
প্রথম টুইটটি করার পরে রাহুল লেখেন, ‘‘মোদীজি, আপনার পছন্দের সংস্থা আইএল এন্ড এফএস ডুবতে বসেছে। আর আপনি এলআইসি-র টাকা দিয়ে তাকে বাঁচাতে চাইছেন! কেন? এলআইসি দেশের ভরসার প্রতীক। এক এক টাকা যোগ করে মানুষ এলআইসি-র বিমা করান। তাঁদের টাকায় জালিয়াতদের কেন বাঁচাতে চাইছেন? আপনার জন্য ‘আইএল এন্ড এফএস’-এর মানে ‘আই লাভ ফিনান্সিয়াল স্ক্যাম’ (আমি ভালবাসি আর্থিক দুর্নীতি) নয় তো?’’
ঋণদাতা সংস্থা ‘আইএল অ্যান্ড এফএস’-এর ঋণ বাড়তে বাড়তে ৯১ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। এই সংস্থায় এলআইসির ২৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, সিংহভাগ মালিকানা বেসরকারি হাতে থাকলেও সরকারি সংস্থার টাকা দিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে মোদী সরকার।
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর জন্মের সার্ধশতবার্ষিকী উপলক্ষে মোদী বিস্তর ধুমধামের ব্যবস্থা করেছেন। আজও গুজরাতের গাঁধী আশ্রমে গিয়ে সভা করেছেন। সকালে ‘মন কি বাত’-এ স্বচ্ছতার কথা বলে গাঁধীর কথা স্মরণ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে রাহুলও সেবাগ্রামে গিয়ে গাঁধীর আদর্শ তুলে ধরে মোদীর সরকারকে পাল্টা নিশানা করতে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy