Advertisement
E-Paper

ভোটে ভুয়ো খবর ঠেকানোর আশ্বাস সোশ্যাল মিডিয়ার

বিশ্বের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারে ভারত প্রথম স্থানে। প্রায় ২৭ কোটি মানুষ তা ব্যবহার করেন। ফেসবুকের অধীন সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে সেখানে কোনও আপত্তিকর বার্তা বা ছবি প্রকাশিত হলে একই ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ফেসবুক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১৩
জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে ফেসবুক, গুগ্‌ল, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া। ছবি: রয়টার্স।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে ফেসবুক, গুগ্‌ল, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া। ছবি: রয়টার্স।

নানান গুজব, ভুয়ো প্রচার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই জটিলতার সৃষ্টি করে। নেট দুনিয়ায় ভুয়ো খবর রুখতে এ বার কিছুটা এগিয়ে থাকার সুযোগ পাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

এই বিষয়ে কমিশনকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে ফেসবুক, গুগ্‌ল, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া। ভোটে ওই সব সংস্থাকে যে কোনও ভাবেই অপপ্রচারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না, সেই বিষয়ে কমিশনকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটেই সেই আশ্বাসের প্রতিফলন ঘটবে বলে কমিশন সূত্রের খবর।

মাস দুয়েক আগে ফেসবুক-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কমিশনের কর্তারা। সেখানেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ঠেকানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। তার পরে এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে ফেসবুক, গুগ্‌ল, টুইটার। ওই সব সংস্থা জানিয়েছে, ভোট পর্বে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে নজরদারি চালাবে তারা। সে-ক্ষেত্রে ভুয়ো খবর, প্ররোচনামূলক প্রচার বা মানহানিকর ও অশালীন বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে প্রয়োজন অনুযায়ী তা ‘ব্লক’ করবে ফেসবুক। এমনকি অভিযোগ না-এলেও এই ধরনের ভিডিয়ো, ছবি ও বার্তার ‘পোস্ট’ নিজে থেকেই সরিয়ে দিতে পারে ওই সব সংস্থা।

নিয়ম অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সব ধরনের প্রচার বন্ধ করে দিতে হয়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেক ক্ষেত্রেই ‘নীরব’ প্রচার চলে। এ বার সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ‘নীরব’ প্রচারেও লাগাম টানতে চায় কমিশন। তা নিয়ে ফেসবুকের তরফে আশ্বাস মিলেছে। এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার উপরেই ভরসা রাখতে চাইছে কমিশন।

বিশ্বের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারে ভারত প্রথম স্থানে। প্রায় ২৭ কোটি মানুষ তা ব্যবহার করেন। ফেসবুকের অধীন সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে সেখানে কোনও আপত্তিকর বার্তা বা ছবি প্রকাশিত হলে একই ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ফেসবুক। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার আশ্বাস বাস্তবায়িত হলে ভোট পর্বে উস্কানিমূলক বক্তব্যকে ঘিরে অশান্তি অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে আশা করছেন কমিশনের কর্তারা।

প্রকাশ্যে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানো যাবে। ওই সময়ের পরে সভা-সমাবেশের মতো ফোন, ফেসবুক, হোয়াট্যাসঅ্যাপ-সহ সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে ফেসবুক বা গুগ্‌লের আশ্বাস অনেকটাই কার্যকর হবে বলে আশা করছে কমিশন।

Social Media Google Facebook EC Election Election Commission ফেসবুক গুগ্‌ল সোশ্যাল মিডিয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy