অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি: পিটিআই।
সরকারের চতুর্থ বার্ষিকীর দিনেই দিল্লির অধিকারের প্রশ্নে ধাক্কা খেলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লির দুর্নীতি দমন শাখার নিয়ন্ত্রণ, উঁচু পদমর্যদার অফিসার নিয়োগের প্রশ্নে সমস্ত ক্ষমতা উপরাজ্যপাল তথা বকলমে কেন্দ্রের হাতে রয়েছে বলেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
দিল্লির দুর্নীতিদমন শাখার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। আজ সেই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দুর্নীতিদমন শাখার নিয়ন্ত্রণ, আমলা নিয়োগের দায়িত্বে থাকবেন উপরাজ্যপাল। যে কোনও তদন্ত কমিশনের ক্ষমতাও থাকবে কেন্দ্রের হাতে। তবে গ্রেড থ্রি ও ফোর পর্যায়ের কর্মী নিয়োগের ভার ও কৃষিজমির দাম ঠিক করার ক্ষমতা দিল্লি সরকারের হাতে দিয়েছে আদালত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নে কেন্দ্রের নজরদারিতে রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে তিন সদস্যের বেঞ্চ।
পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা চেয়ে দিল্লির দাবি নতুন নয়। এক সময়ে ঠিক হয়েছিল নিউ দিল্লি পুরএলাকার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্র। বাকি অংশের দায়িত্বে থাকবে দিল্লি সরকার। সেই প্রস্তাব দিনের আলো দেখেনি।
তবে এই সমস্যা দিল্লির একার নয়। যেহেতু রাজধানী এলাকায় সংসদ, রাষ্ট্রপতি ভবন, সরকারি দফতর, বিদেশি দূতাবাসগুলি থাকে, তাই পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের সরকারই রাজধানীকে আলাদা রাজ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়ায় আপত্তি দেখিয়ে থাকে। ওয়াশিংটন ডিসি যেমন প্রায় চার দশক ধরে আলাদা রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে সরব হলেও আজও তাদের দাবি পূরণ হয়নি। টোকিয়ো আর বার্লিন অবশ্য ব্যতিক্রম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy