ছবি সংগৃহীত
বাবরি মসজিদ ছিল, আছে আর চিরকালের জন্যই থাকবে বলে দাবি করল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। সংগঠনের মতে, শরিয়ত অনুযায়ী কোনও জায়গায় কখনও কোনও মসজিদ প্রতিষ্ঠা হলে চিরদিনের জন্য তা থেকে যায়। অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাসের এক দিন আগে বোর্ডের তরফে এ কথা বলা হয়েছে।
১৯৪৯ সালে অযোধ্যায় বারবি মসজিদের পক্ষে প্রথম মামলাকারী প্রয়াত হাসিম আনসারির পুত্র ইকবাল আনসারি আজ শিল্যানাসের দিনেই বলেন, ‘‘আমরা শান্তি চাই। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকা উচিত।’’ মুসলিম ল বোর্ডের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওই বিষয়ে কিছু শুনিনি।’’
অযোধ্যায় রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের সঙ্গে দীর্ঘ দিন থেকেই জড়িয়ে ছিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার ঠিক আগে তাদের বক্তব্য, কোনও মসজিদের ভিতরে যদি দেবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়, পুজো করা হয় বা দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে নমাজ পড়ার সুযোগ না-ও মেলে, তা হলেও মসজিদের চরিত্রে বদল আসে না। সংগঠনের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে সাধারণ সম্পাদক মৌলানা মহম্মদ ওয়ালি রহমানি বলেন, ‘‘আমরা সব সময়েই বলেছি, কোনও হিন্দু মন্দির বা ধর্মস্থান ভেঙে ফেলে বাবরি মসজিদ গড়ে ওঠেনি। ২০১৯-এ সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের সেই অবস্থানকেই স্বীকৃতি দিয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, মসজিদের নীচে খোঁড়াখুড়ি করে যে ধ্বংসাবশেষ মিলেছে, তা দ্বাদশ শতকের কাঠামোর নিদর্শন— যা কিনা বাবরি মসজিদ নির্মাণের প্রায় চারশো বছর আগের ঘটনা।
রামমন্দির আন্দোলনের পিছনে বলপ্রয়োগ, নিপীড়নের অভিযোগ এনে অন ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড বলেছে, ওই আন্দোলন ছিল রাজনৈতিক, ধর্মের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের রায় কিংবা রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে হতাশ না হওয়ার জন্যই ভারতীয় মুসলিমদের আর্জি জানান রহমানি। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের মতে, শীর্ষ আদালত অযোধ্যা নিয়ে রায় দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ন্যায়ের প্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
এরই মধ্যে অযোধ্যা মামলার এক শরিক হাজি মেহবুব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে বলেছেন, ১৯৯৩ সালে সংসদে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সরকার যেন তা পূরণ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy