ছবি পিটিআই।
অনুপাতটা দাঁড়াল ৫০:৫০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেন, সেই সঙ্গে ৫০ হাজারের বেশি সুস্থও হলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৫০৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এই নিয়ে টানা সাত দিন দেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৫০ হাজারের উপরে রইল। পাশাপাশি, সুস্থতার হারও ঊর্ধ্বগামী। বস্তুত দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাতেও রেকর্ড হয়েছে এ বার। ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৫১ হাজার ৭০৬। এটাই এখনও অবধি দেশে সর্বোচ্চ।
মন্ত্রক জানাচ্ছে, কমেছে মৃত্যুহারও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৮৫৭ জন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা, আজ সকাল ৮টা অবধি, ৩৯ হাজার ৭৯৫। মৃত্যুহার কমে দাঁড়িয়েছে ২.০৯ শতাংশে। তবে আগের দিন মারা গিয়েছিলেন ৮০৩ জন। সেই হিসেবে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু বেড়েছে।
এমনিতে বুধবার কোভিড আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৮ হাজার ২৫৪। ১৮ থেকে ১৯ লক্ষে পৌঁছতে দু’দিন সময় নিল ভারত। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রক জোর দিচ্ছে এই তথ্যে— করোনা থেকে সেরে ওঠার মোট সংখ্যা এখন ১২ লক্ষ ৮২ হাজার ২১৫, যা দেশের অ্যাক্টিভ কেসের দ্বিগুণেরও বেশি। দেশ জুড়ে অ্যাক্টিভ সংক্রমিতের এখন ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৪৪। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৩০.৭২ শতাংশ। আর সুস্থ হয়ে ওঠার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭.১৯ শতাংশে।
মন্ত্রক তার বিবৃতিতে বলেছে, সরকারি নীতির সুফল মিলছে বলেই গত ১৪ দিনে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৩.৮ শতাংশ। কমানো গিয়েছে মৃত্যুহারও। কেন্দ্র-রাজ্য মিলে এবং সরকারি-বেসরকারি পরিকাঠামো মিলে করোনা পরীক্ষার হার অনেকখানি বাড়ানো গিয়েছে বলেই আগেভাগে রোগ ধরা পড়ছে এবং আগেভাগে ধরা পড়ছে বলেই চিকিৎসা করে রোগ সারার সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি করেছে মন্ত্রক। মঙ্গলবার পর্যন্ত শেষ দু’দিনই দেশ জুড়ে দিনে ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আইসিএমআর-এর হিসেব বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট পরীক্ষার সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮০২। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই পরীক্ষা হয়েছে ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৫২ জনের। দেশে এখন ১৩৬৬টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষার কাজ চলছে। এর মধ্যে সরকারি ল্যাব ৯২০টি, বেসরকারি ৪৪৬টি।
এ দিকে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জ়াইডাস ক্যাডিলা করোনার যে প্রতিষেধক আনার চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই জ়াইকোভ-ডি-র মধ্য পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে বৃহস্পতিবার। ১০০০ প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে বলে খবর। এর আগে প্রথম পর্বে যাঁদের উপরে ওই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই সুস্থ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত রয়েছেন বলে সংস্থার দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy