বিদেশে গিয়ে বড় বড় কথা ঢের হলো। অমরনাথের মতো পরিকল্পিত যাত্রাতেও তো নিরাপত্তা দেওয়া গেল না।
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এমন তীব্র ভাষায় আক্রমণ বিরোধী শিবির থেকে ধেয়ে আসা স্বাভাবিক। কিন্তু গত কাল রাতে অমরনাথে জঙ্গি হানার পর এমন মন্তব্য এল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার থেকে। তোগাড়িয়া না হয় মোদী-বিরোধী। আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অন্য নেতারাও সরকারের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন। দিল্লির বিনোদ বনশল থেকে উত্তরপ্রদেশের শরদ শর্মা— একাধিক নেতার দাবি, অবিলম্বে কাশ্মীরের সরকারকে বরখাস্ত করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন্দ্রে একজন পূর্ণ সময়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকেও নিয়োগ করতে হবে। গোটা দেশে আজ বিক্ষোভও দেখায় পরিষদ।
বিব্রত আরএসএস মুখে না বললেও সঙ্ঘের সঙ্গে জড়িত প্রবীণ নেতা এম জি বৈদ্য বলেন, উপত্যকায় হিন্দুরা নিরাপদ নন। সেখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতরাও থাকতে পারেন না। সরকার পাকাপাকি পদক্ষেপ না করলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ঘরোয়া স্তরে সঙ্ঘের নেতারা বলছেন, অমরনাথ নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল সরকারকে। তা সত্ত্বেও এমন ঘটনা। আগামী সপ্তাহে জম্মুতে আরএসএসের বৈঠকে কাশ্মীর নীতি নিয়ে অবস্থান নেবে সঙ্ঘ। সরকারের শরিক শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে অবশ্য ছাপিয়ে গিয়েছেন সবাইকেই। তীক্ষ্ণ বিদ্রুপের সুরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জঙ্গিদের সামলাতে গো-রক্ষকদের কেন পাঠানো হচ্ছে না?’’ আর এক শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতও মোদীকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী তো বলেছিলেন, নোট বাতিলের প্রভাব কাশ্মীরের জঙ্গিদের উপর পড়বে। না তার কোনও প্রভাব পড়ল, না সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কোনও প্রভাব দেখা গেল!’’
আরও পড়ুন: লস্কর না হিজবুলের হাত, ধন্দে গোয়েন্দারা
গোটা ঘটনায় দোষ কার, তা নিয়ে সরকার ও দলের মধ্যেও পারস্পরিক দোষারোপ শুরু হয়েছে। কেন্দ্র যেমন এর দায় এড়াতে পারছে না, তেমনই জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপির সঙ্গে ঘর করার জন্য বিজেপির ঘাড়েও দায় চাপছে। ঘরের মধ্যেই কোন্দল দেখে বিজেপি নেতারা এখন বিষয়টি পাকিস্তানের দিকে ঘুরিয়ে দিতে মরিয়া। প্রধানমন্ত্রী সচিবলায়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ-সহ সবারই বক্তব্য, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা যে ভাবে অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলা করেছে, সেটি ঘৃণ্য কাজ। বিষয়টি লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করে আরএসএস থেকে বিজেপিতে আসা রাম মাধব বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে কোনও ঘাটতি ছিল না। আগামী দিনে এ রকম হামলা রুখতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy